Shopping cart

  • Home
  • বাংলাদেশ
  • অন্যান
  • খাগড়াছড়িতে সেনা বহরে হামলার তিব্র নিন্দা ও জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে পিসিসিপি

খাগড়াছড়িতে সেনা বহরে হামলার তিব্র নিন্দা ও জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে পিসিসিপি

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫

খাগড়াছড়িতে সেনা বহরে হামলার তিব্র নিন্দা ও জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে পিসিসিপি।

খাগড়াছড়িতে সেনা বহরে হামলার তিব্র নিন্দা ও জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে পিসিসিপি।

আহমদ বিলাল খান: খাগড়াছড়িতে সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফের ছত্র ছায়ায় জুম্ম ছাত্র জনতার মহাসমাবেশ থেকে দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীর গাড়ির উপর হামলার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা বলেনন, এটা কোনোভাবেই একটি সুষ্ঠু আন্দোলনের পরিচায়ক হতে পারে না।

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি দিয়ে এই তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন কায়েস ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবীব আজম। হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করার জোর দাবি জানান তারা।

বিবৃতিতে পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ধর্ষণবিরোধী মহাসমাবেশের নামে সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে রাষ্ট্রবিরোধী ও রাষ্ট্রদ্রোহী স্লোগান প্রদান করা, এমনকি লাঠি ও মুহুমুহু পাথর নিক্ষেপ করে হামলার মতো ঘটনা ঘটানো এগুলো সরল কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ নয় বরং সুপরিকল্পিত উস্কানি ও ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বহন করে।

বিবৃতিতে পিসিসিপি নেতৃবৃন্দ বলেন, একটি সত্যিকার ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত অপরাধীদের বিচারের দাবি

তোলা এবং সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করা।

কিন্তু এখানে দেখা যাচ্ছে, সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালানো হচ্ছে ও হামলা করা হচ্ছে যা রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।

পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনীকে নিয়ে ষড়যন্ত্র ও পাহাড়কে উত্তপ্ত করার নীল নকশা,পরিকল্পনা করছে উপজাতি সন্ত্রাসী মহল।বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে তাদের অপপ্রচার যেন থামছেই না। তাদের নিত্যদিনের স্লোগান হয়ে দাঁড়িয়েছে “পাহাড় থেকে সেনা হটাও”

অথচ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাহাড়কে শান্ত রাখার জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

বিবৃতিতে পিসিসিপি নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সম্প্রতি খাগড়াছড়ি জেলার সদর উপজেলার সিঙ্গিনালা এলাকায় একটি জঘন্য ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। খাগড়াছড়ি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে শয়ন শীল (১৯) ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। সেনাবাহিনীর সহায়তায় প্রধান আসামিকে দ্রুত গ্রেফতার করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এবং অন্যান্য জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার পরও পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ এর সরাসরি ইন্ধনে তাদের ছাত্র সংগঠন বৃহত্তর পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সন্ত্রাসীদের দিয়ে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে ইচ্ছাকৃতভাবে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। “পাহাড় থেকে সেনা হটাও” স্লোগান তুলে তারা ধর্ষণের ঘটনার মতো মানবিক ইস্যুকেও রাজনৈতিক ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কাজে লাগাতে চাইছে। এতে স্পষ্ট বোঝা যায়—উপজাতি সন্ত্রাসীরা যেকোনো অঘটন ঘটলেই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে।

বাস্তবে সেনাবাহিনী বরাবরই পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জটিল ভৌগোলিক পরিবেশে তারা পাহাড়ি-বাঙালি নির্বিশেষে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দিনরাত পরিশ্রম করছে। অপরাধ দমন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা থেকে শুরু করে শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবাতেও সেনাবাহিনী প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে।

বিবৃতিতে পিসিসিপি নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো পরিকল্পিতভাবে নারীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে এবং বিভিন্ন সময়ে সেনাবাহিনী বিরোধী কার্যক্রম চালিয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা করছে। অথচ, এই সেনাবাহিনীই যেকোনো দুর্যোগে সবার আগে এগিয়ে আসে, সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায় এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—যে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ জানানো উচিত ছিল প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে, সেটিকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে সেনাবাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে ভুক্তভোগী পরিবারের ন্যায়বিচারের দাবি আড়াল হয়ে যাচ্ছে এবং অপরাধীদের রক্ষা করার চেষ্টা স্পষ্ট হয়ে ওঠছে।

বিবৃতিতে পিসিসিপি নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই—

“বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার।” তাদের ভূমিকা শুধু পার্বত্য অঞ্চলে নয়, পুরো দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অপরিসীম। তাই যেকোনো ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার প্রতিহত করতে হবে এবং অপরাধীদের রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় বন্ধ করতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখতে সেনাবাহিনী অপরিহার্য। অপরাধীদের সঠিক বিচার নিশ্চিত করতে হলে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা থেকে বেরিয়ে এসে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের মিথ্যাচার যতই হোক, জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা দিয়ে এই বাহিনী সর্বদা দেশের গৌরবের প্রতীক হয়েই থাকবে।

পিসিসিপি নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে জোর দাবি জানিয়ে বলেন, সেনাবাহিনীর গাড়ি লক্ষ্য করে হামলাকারী ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি এবং ইউপিডিএফ এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে কঠোর ভাবে তাদের দমন করার জন্য সরকারি নির্দেশনা দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় দেশ প্রেমিক ছাত্র-জনতাকে নিয়ে পিসিসিপি তিন পার্বত্য জেলাকে অচল করে দিবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *