মোঃ মিজানুর রহমান (নন্দন) মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা ) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জে ঈদ উপলক্ষে অভিনব কায়দায় টিকিট কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছে স্টেশন মাস্টারের বিরুদ্ধে।
স্টেশন মাস্টার আতাউর রহমান ঈদে টিকেট কালোবাজারীর উদ্দেশ্যে মোহনগঞ্জ- ঢাকা হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনে দুই টি অতিরিক্ত বগী (কেবিন ও শোভন) সংযুক্ত করে উক্ত বগীর ৯০ টি সিট অফলাইনে কালোবাজারিদের দিয়ে ৪/৫গুন মুল্যে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঈদে সকল আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট অনলাইনে বিক্রি করার কথা থাকলেও এ অতিরিক্ত দুই বগীর টিকেট অনলাইনে বিক্রি করা হয়েছে।৪ এপ্রিল হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনে সরেজমিনে এর প্রমাণ পাওয়া যায়।সকল যাত্রীর হাতে ছিল অফলাইন টিকিট।
এ বিষয়ে স্টেশন মাস্টারের নিকট সরাসরি জানতে চাইলে তিনি জানান, এ দুইটি বগী রেলের ও অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জন্য নির্ধারিত।এটিকিট সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করা নিষেধ।এটা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এই দুই বগীতে কোন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বা তাদের আত্মীয় স্বজনের দেখা মেলেনি।
উক্ত বগীর যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা ৪/৫গুন বেশি দামে টিকেট কাউন্টার ছাড়া কালোবাজারিদের নিকট থেকে কিনেছে।
এ বিষয়ে রেলের ডিজির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ রকম নির্দেশ তিনি দেন নি। এ অভিযোগের বিষয়ে তিনি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
আজকে সহকারী কমিশনার ভূমি এম এ কাদের অভিযোগের ভিত্তিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।তখন স্টেশন মাস্টার ছুটিতে ছিলেন। বিকেলে স্টেশন মাস্টারের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আজ সমস্ত টিকেট অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে।
তথ্যানুসন্ধান করে জানা যায়, উক্ত স্টেশন মাস্টারের বিরুদ্ধে ঠাকুরাকোনা রেল স্টেশনে দায়িত্ব পালন কালে ট্রেনের বগি কেটে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে।
অপরদিকে মোহনগঞ্জ থেকে নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ রোডে যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুন ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আবার মোহনগঞ্জ টু ঢাকা ময়মনসিংহ রোডে বাস যাত্রীদের কাছ থেকে দিগুন তিনগুণ ভাড়া বেশি আদায় করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।এ অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল বাস ও সিএনজি কাউন্টারে অভিযান চালিয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি এম এ কাদের জরিমানা করেন এবং অতিরিক্ত আদায় করা ভাড়া যাত্রীদেরকে ফেরত দিতে বাধ্য করা হয়।
সহকারী কমিশনার ভূমি এম এ কাদের জানান এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।