আহমদ বিলাল খান: পার্বত্য অঞ্চলের দুই/তিনটি উপজাতি জনগোষ্ঠী এককভাবে কোটা সুবিধা ভোগ করছে। এতে শুধু সম্প্রদায় ও জাতিগত বৈষম্যই হচ্ছে না, দেশের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নাগরিককে যোগ্য মানবসম্পদে পরিণত করে দেশ ও জাতি গঠনের কাজে লাগানো যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলা শাখা নেতৃবৃন্দ।
বুধবার (২৫ জুন) সকাল ১১ টায় রাঙামাটি শহরের কলেজ গেইট এলাকায় একটি ক্লাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলা শাখা কর্তৃক এইচএসসি-২৫ পরীক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ উপহার ও বিদায় সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দরা এসব কথা বলেন। আলোচনা সভা শেষে শতাধিক এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের মাঝে পরীক্ষা উপকরণ উপহার বিতরণ করা হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামে কোটা যদি থাকতে হয় তাহলে তা সকল জনগোষ্ঠীর মাঝে সম- বন্টন করা উচিত। সবচেয়ে বৈষম্যমূলক চিত্র এটাই যে, একই পাহাড়ের দুর্গম ও বিরূপ পরিস্থিতিতে বসবাস করলেও পার্বত্য বাঙালি জনগোষ্ঠী কোটা সুবিধাবঞ্চিত হয়ে শিক্ষা, চাকরি, আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদায় চরমভাবে পিছিয়ে পড়ছে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিপ্রেক্ষিতে জনসংখ্যার অর্ধেক হয়েও পরিসংখ্যানগত বাস্তবতায় বাঙালিরা অবহেলিত, প্রান্তিক ও দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত হচ্ছে।
পিসিসিপি’র শিক্ষা উপকরন বিতরণ অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য মো. হাবীব আজম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা শাখার যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ইসমাঈল গাজী, অর্থ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, কলেজ শাখার নেতা আশরাফুল ইসলাম, বরকল উপজেলার সহ-সভাপতি মইনুল ইসলামসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।