সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা: সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে পূর্বশত্রুতার জেরে যোবায়ের শামীম (২৫) নামে এক যুবককে হত্যা চেষ্টায় মারধর করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকৃতরা হলেন মধ্যনগর উপজেলার রামপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র মোহাম্মদ আলী, রংপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের পুত্র বিল্লাল মিয়া।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ভোর রাতে উপজেলার বকশিকুন্ডা ইউনিয়নে আসামীদের নিজ বাড়ি হতে তাদের আটক করে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত আসামীরা ও মামলার বাদী রামপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র যোবায়ের শামীমের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। বেশ কিছুদিন আগে স্থানীয় গ্রাম্য বিচার সালিশে বিষয়টি সমাধান করা হলেও অভিযুক্তরা প্রতিহিংসার জেরে বাদী পক্ষের লোকজনের ক্ষতি করার পায়তারায় উৎপেতে থাকে। এতে গত ২২ সেপ্টেম্বর ৩ টার দিকে যোবায়ের শামীমকে রামপুর কড়ইবাড়ি মসজিদের সামনে রাস্তায় একা পেয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে- দা,লোহার রড, লাঠি সোটা দিয়া মারধর করে প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে তার চিৎকার শুনে মামলার স্বাক্ষীগণ মৃত জলিল মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া খাতুন, জলিল মিয়ার কন্যা জয়নব আক্তার সাকী,আয়শা আক্তার,ফাতেমা আক্তার,আহসান উল্লাহর স্ত্রী মরিয়ম আক্তার (২৬) স্বাক্ষী দ্বয় এগিয়ে আসলে তাদেরকে ও দেশীয় দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে মারধর করে জখম করে।
এসময় কানে থাকা ৫০ হাজার টাকার মূল্যের স্বর্ণের ঝুমকা, গলায় থাকা ৪৮ হাজার টাকার মূল্যের স্বর্ণের চেইন,একজোড়া ১৬ হাজার টাকার মূল্যের স্বর্ণের হাতের বালা। সর্বমোট ১ লাখ ১৪ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এঘটনায় যোবায়ের শামীম বাদী মধ্যনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন,রামপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র মোহাম্মদ আলী (৭০), ২। মোহাম্মদ আলী’র পুত্র আবু বকর সিদ্দিক (৩৫), ৩। সোহাগ মিয়ার স্ত্রী কুলসুমা বেগম (৫৫), ৪। মহেশখলা গ্রামের মৃত কালা মিয়ার পুত্র হিরণ মিয়া (৩২), ৫। হিরন মিয়ার স্ত্রী মমিনা বেগম (২৬). ৬। রংপুর গ্রামে মৃত আব্দুল মজিদের পুত্র বিল্লাল মিয়া (৪৫).৭। কড়ইবাড়ি গ্রামের খাঁ-সাব পুত্র আব্দুল আওয়াল, ৮। আব্দুল আওয়ালের স্ত্রী মঞ্জুরা বেগম (৩০). ৯। ছাতারঘর গ্রামের তানভির মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (১৯)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মধ্যনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সজিবুর রহমান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। দু’জনকে আটকপূর্বক আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।