স্টাফ রিপোর্টার: প্রায় এক কোটি প্রবাসীর মধ্যে ৮ লাখের মতো বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত সফটওয়্যার পোস্টাল ভোট বিডি তে রেজিষ্ট্রেশন করেন। এর কারণ হিসেবে কয়েকটি সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে।
এর মধ্যে প্রথম কারণ হলো, বেশির ভাগ প্রবাসীর এনআইডি কার্ড না থাকা। দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার কারনে এনআইডি কার্ড প্রায় প্রবাসী বানাতে পারেনি। জন্মনিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করে বিদেশে ফারি জমান। বর্তমান পোস্টাল ভোট বিডি তে পাসপোর্ট দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করার সিস্টেম নেই। যার ফলে এনআইডি কার্ড না থাকায় শুধু পাসপোর্ট দিয়ে ভোটার লিস্টে অর্থাৎ পোস্টাল ভোট বিডি তে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারতেছে না। এতে ভোটাধিকার থেকে বাদ পরছেন লক্ষ লক্ষ প্রবাসী ভোটার।
দ্বিতীয় কারণ, অনেকেই জানেই না কিভাবে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। যার কারনে তারা পোস্টাল ভোট বিডি মোবাইলে ইন্সটল করে নাই।
তৃতীয় কারণ, প্রবাসীরা মনে করতেছে যদি রেজিষ্ট্রেশন করি আমার নামে সে দেশে পোস্ট অফিসে যে ব্যালট পেপার আসবে তা আমাকে সংগ্রহ করতে হবে অফিস টাইমে। এই সময় প্রবাসীদের অনেকেই থাকে তাদের নিজস্ব কর্মব্যস্ততায়। সুতরাং এই ঝামেলায় না জড়ানোই ভালো।
চতুর্থ কারণ, এমন অনেক প্রবাসী আছেন যার আশেপাশে কোনো পোস্ট অফিস নাই। সে মনে করতেছে আজকে রেজিষ্ট্রেশন করলে আমার দ্বারা এতো দূর থেকে ব্যালট পেপার সংগ্রহ করা সম্ভব না। যার ফলে রেজিষ্ট্রেশন থেকে বাদ রয়েছেন।
পঞ্চম কারণ, মেডিলিস্টের অনেক রাষ্ট্রে প্রায় অনেক প্রবাসী অবৈধভাবে রয়েছেন। রেজিষ্ট্রেশন করতে ভয় পাচ্ছেন এই কারনে যে পরে সে নিজে গিয়ে পোস্ট অফিস থেকে পেপার সংগ্রহ করতে পারবে না। কেননা নিরাপদ কাজের জায়গা থেকে পোস্ট অফিস থেকে পেপার সংগ্রহ করতে গেলে যদি পুলিশের হাতে আটক হতে হয়। এমন প্রবাসীরাও রেজিষ্ট্রেশন এর বাহিরে রয়েছেন।
সর্বপোরি, বিভিন্ন কারণে বেশিরভাগ প্রবাসী নিজেদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকবে নেটিজেনরা মনে করছেন। মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইন ভিত্তিক ভোট প্রয়োগের সিস্টেম থাকলে ভোটের আওতায় বেশির ভাগ প্রবাসী আসতে পারতেন বলে মনে করছেন অনেকেই।



