খন্দকার মারুফ, দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ): টানা ভারি বর্ষণ ও ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে উপজেলার সুরমা, চেলা,খাসিয়ামারা,চিলাই, চলতি ও ধূমখালিসহ বিভিন্ন নদীনালা,হাওর ও খাল বিলের উপচে পড়া পানিতে বন্যার শষ্কা দেখা দিয়েছে নিম্নাঞ্চলগুলোতে। এছাড়াও বুধবার দুপুর থেকে উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে উপজেলাবাসী।
বুধবার রাত থেকে টানা দু’দিনের ভারী বর্ষনে শুক্রবার সকালে ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের চেলানদীর নিকটবর্তী, সারপিনপাড়া, পূর্বচাইরগাঁও, সোনাপুর ও রহিমের পাড়া এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
দৌলতপুর, মন্তাজনগর এলাকার হাওরগুলোতে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত হুহু করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব নিম্নাঞ্চলে ইতোমধ্যে গ্রামীন সড়কগুলো তলিয়ে যাওয়ার শষ্কা বাড়ছে।
খাসিয়ামারা নদীতে পানি বাড়তে থাকায় বিভিন্ন গ্রামীন সড়ক তলিয়ে দোয়ারাবাজার সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার শষ্কায় সুরমা, বগুলা,লক্ষীপুর ও বাংলাবাজার (আংশিক) ৫ ইউনিয়নের মানুষজনের ।
বিভিন্ন স্থানে রাস্তা, মাঠঘাট ও গোচারণ ভূমি তলিয়ে যাওয়ায় গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। বপনকৃত ধানের বীজতলা নিয়ে শঙ্কিত রয়েছেন নিম্নাঞ্চলের কৃষকরা।
এছাড়া গত তিনদিন ধরে টানা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে দোয়ারাবাজার উপজেলাবাসী।
উপজেলাধীন সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ জানান, খাসিয়ামারা নদীতে হুহু করে পানি বাড়ছে। হাওরগুলো পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। দুই দিনের টানা বর্ষণ ও ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বন্যার শষ্কা দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুপ রতন সিংহ জানান, টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে আশংকাজনক পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি হ্রাস না পেলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারি ত্রাণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমরা বদ্ধপরিকর। স্বেচ্ছাসেবক সহ আমাদের মনিটরিং অব্যাহত থাকবে।