জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সামনে থেকে বাস, লেগুনা স্টান্ড সরিয়ে নেওয়ার ফলে শিক্ষার্থী বান্ধব পরিবেশ তৈরি হলেও বেড়েছে জন দুর্ভোগ।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদচারণা ও আলোচনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে বাস স্টান্ড উচ্ছেদ করলে সদরঘাট দিয়ে আসায় সাধারণ জনগণের ভোগান্তি বেড়েছে বলে জানান সাধারণ যাত্রীরা।
বরিশাল থেকে মহাখালী বোনের বাসায় থেকে বাবার চিকিৎসার জন্য আসা মো: রাকিবুল ইসলাম বলেন, আগে যখন বাবাকে নিয়ে এসেছি সরাসরি সদরঘাট থেকে বাসে করে মহাখালীতে গিয়েছি। এখন এসে দেখি বাস আরও এক কিলোমিটার দূরে অতিরিক্ত রিকশা ভাড়া দিয়ে বাস প্রর্যন্ত যাওয়া এবং বাবার বার বার গাড়ি পরিবর্তন উভয়ই কষ্টকর।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, গুলিস্তান থেকে তাঁতীবাজার সড়কজুড়ে মালবোঝাই ঠেলাগাড়ি, কাভার্ডভ্যান, লেগুনা, রিকশা, বাস ও ট্রাকের সারি। তীব্র যানজটে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শিক্ষার্থী ছাড়াও হাসপাতালগামী রোগীসহ দূরপাল্লার যাত্রীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর অধ্যাপক ড মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, অবৈধ বাস স্টান্ড এখানে থাকবে না। জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি হলে তা দেখার দায়িত্ব আমাদের না, সেটা ট্রাফিক বিভাগ, ডিএমপি দেখবে। আমরা বাস স্টান্ড করার অনুমতি ও দেই নি, এটাও দেখতে যাব না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড মো: রইছ উদ্দীন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমস্যার কারণে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি, তবে জন দূর্ভোগের ব্যাপারও আমাদের মাথায় আছে, যা আগামি দুয়েকদিনের মধ্যে ডিএমপি, ট্রাফিক বিভাগের সাথে বসে আমরা বিচার বিশ্লেষণ করবো।তবে যাই হোক একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ এমন হতে পারে না, বাহাদূর শাহ পার্কের আশেপাশে থাকা সমস্ত অবৈধ দোকানের ও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে জানতে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মনিরুজ্জামানের কাছে গেলে তিনি ব্যাস্ততা দেখান এবং পরে তাকে সহকারীসহ থানা এলাকায় ছবি তুলতে দেখা যায়।