মাহফুজ কাউসার ছাদি: বিভিন্ন চা-বাগানে দৈনিক মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণের দাবিতে এবং ৮.৯৩ টাকা মজুরি বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদী মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। চা-শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে সিলেটের খাদিম চা-বাগান, মৌলভীবাজারের কালিটি চা-বাগান এবং হবিগঞ্জের লালচান্দ চা-বাগানে এই কর্মসূচি পালিত হয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বানে সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সমাবেশে শত শত চা-শ্রমিক অংশগ্রহণ করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে চা-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশীয় চা-সংসদের ১১ আগস্ট ঘোষিত মাত্র ৮.৯৩ টাকা মজুরি বৃদ্ধি চা-শ্রমিকদের সাথে চরম অমানবিক আচরণ ও তামাশা। তারা উল্লেখ করেন, বিগত সরকারের আমলে ২০২৩ সালের ১ আগস্ট প্রকাশিত গেজেটে ৫ শতাংশ হারে মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়া হয়, যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে সাড়ে আট টাকা বৃদ্ধি পায়। নেতারা প্রশ্ন তোলেন, যেখানে একটি পানের দাম দশ টাকা ও একটি ডিমের দাম বারো টাকার বেশি, সেখানে মাত্র ৯ টাকার মজুরি বৃদ্ধি চা-শ্রমিকদের কোন কাজে আসবে না। বর্তমান বাজারের ঊর্ধ্বগতির প্রেক্ষাপটে এই মজুরি বৃদ্ধিকে তারা প্রতারণা হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, দৈনিক মাত্র ১৮৭.৪৩ টাকা মজুরি দিয়ে কারো পক্ষেই সংসার চালানো অসম্ভব। তাই বাঁচার মতো মজুরি হিসেবে দৈনিক ৬০০ টাকা নির্ধারণের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয় সমাবেশ থেকে।
বিভিন্ন চা-বাগানে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন খাদিম চা-বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি এবং চা-শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি সবুজ তাঁতি, সমন্বয়ক মনীষা ওয়াহিদ, কিরণ বাউরি, অনিতা নায়েক, কালিটি চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক উত্তম কালোয়ার, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণদাস অলমিক, কার্তিক, অনিমা অলমিক, বিশ্বজিত দাস, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন মুন্ডা, রিংকু ভৌমিক, বকুল ভৌমিক, রঞ্জিত মৃধা, রীতা মৃধা প্রমুখ।