প্রথমবারের মতো ঢাকায় আসছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪) ঢাকায় সৌদি দূতাবাস আয়োজিত দেশটির ৯৪ তম জাতীয় দিবস উদ’যাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে (পররাষ্ট্র উপদেষ্টা) “মো. তৌহিদ হোসেন” বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। “মো. তৌহিদ হোসেন” বলেন, ‘সৌদি যুব রাজের আসন্ন বাংলাদেশ সফর নিঃসন্দেহে দীর্ঘ স্থায়ী দ্বিপক্ষীয় অংশী’দারিত্বকে আরও জোরদার করবে। আমরা অধীর আগ্রহে যুব রাজের আসন্ন সফরের অপেক্ষায় আছি।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ২ দেশের মধ্যে গভীর বন্ধনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, (১৯৭৫ সালে) আনুষ্ঠানিক ভাবে কূট’নৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ২দেশের অংশীদারিত্ব বিকাশ লাভ করেছে। ২ দেশ আগামী বছর কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ‘মো. তৌহিদ হোসেন’ আরও বলেন, আমরা একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যুবরাজ ‘মোহাম্মদ বিন সালমা’ এর নেতৃত্বে সৌদি অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় এবং টেকসই করার লক্ষ্যে একটি রূপান্তর মূলক পরিকল্পনা সৌদি আরবের ভিশন-২০৩০ এর প্রশংসা করেন তিনি।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা টেকসই ও অন্তর্ভুক্তি মূলক উন্নয়নের জন্য তার অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা বিনিময় করে এই উচ্চা-ভিলাষী রূপকল্পে অবদান রাখতে বাংলাদেশের আকাক্ষার কথা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশি আধা দক্ষ ও অদক্ষ প্রায় ত্রিশ লাখ শ্রমিক নিয়োগের জন্য সৌদি আরবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ‘মো. তৌহিদ হোসেন’ বলেন, এসব শ্রমিক উভয় দেশের অর্থ’নীতিতে অবদান রাখছেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জোর দিয়ে ‘মো. তৌহিদ হোসেন’ বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় অবিচল অংশীদার। সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এস এফ ডি) বহু বছর ধরে আমাদের বিভিন্ন অব-কাঠামো প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। ‘মো. তৌহিদ হোসেন’ উল্লেখ করেন, সৌদি বিনিয়োগ কারীদের রসদ, অব-কাঠামো এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি মতো খাতে ক্রম বর্ধমান আগ্রহের কারণে ২ দেশের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য সাম্প্রতিক বছর গুলোতে দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

উপ’দেষ্টা পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনায় (রেড সি) গেটওয়ে টার্মি’নালের সাম্প্রতিক বিনি’য়োগ উদ্যোগের উদাহ’রণ হিসেবে বাংলাদেশের লজিস্টি’ক্যাল সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সৌদি আরবের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন। তিনি সৌ’দি কোম্পানি গুলোকে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়ো’গের সুযোগ খুঁজে বের করার আমন্ত্রণ জানান। এসব অ’র্থনৈতিক অঞ্চলে অ’বকাঠামো, বিদ্যুৎ, পর্যটন ও সেবা খাতের উল্লেখ’যোগ্য সম্ভাবনা’র প্রস্তাব দেন।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, উভয় দেশই বিশেষ করে শ্রম অ’ভিবাসন, বিনিয়োগ, অবকাঠা’মো, শিক্ষা, কৃষি ও পরিবেশে স’হযোগিতার নতুন ক্ষেত্র গুলো চিহ্নিত করেছে। তৌহিদ বলেন, ‘আগামীর দিকে তাকিয়ে আমরা আমাদের স’ম্পর্কের ক্র’মবর্ধমান গুরুত্বকে প্র’তিফলিত করে যৌথ কমিশন কে মন্ত্রী পর্যায়ে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছি। এই প’দক্ষেপটি নতুন সুযোগ উদঘাটন করবে এবং বৈশ্বিক চ্যা’লেঞ্জ মোকাবেলায় সহযোগিতা বাড়ানোসহ আ’ন্তর্জাতিক ফোরামে একে অপরকে স’মর্থন দেবে।

বাংলাদেশে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ‘ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান’ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। -বাস’স।