মাহফুজ কাউসার ছাদি: সিলেটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি ভোলাগঞ্জ পর্যটন কেন্দ্রে “প্লাস্টিকমুক্ত ভোলাগঞ্জ, পরিবেশবান্ধব পর্যটন” শীর্ষক একটি সচেতনতামূলক কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম।
এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিটি শুক্রবার (১১ জুলাই) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ ক্লাব এবং পরিবেশ অধিদপ্তর, সিলেটের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয়। ইসলামী রিলিফ বাংলাদেশ, পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনাল, মিশনগ্রিন বাংলাদেশ এবং সুরমা রিভার কিপার সংস্থাগুলো এতে সহযোগিতা প্রদান করে।
কর্মসূচির আওতায় ভোলাগঞ্জে প্লাস্টিক ও অন্যান্য বর্জ্য সংগ্রহ, স্থানীয় পর্যটকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক আলোচনা সভা, প্লাস্টিকের বিনিময়ে গাছের চারা বিতরণ এবং ডাম্পিং স্টেশন স্থাপনের মতো কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পরিবেশকর্মী এবং স্থানীয় জনগণ এই কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
সিকৃবির কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মো. সামিউল আহসান তালুকদারের সঞ্চালনায় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম বলেন, “প্রকৃতি আমাদের পরম বন্ধু, অথচ মানুষের অসচেতন আচরণে সেই প্রকৃতিই আজ হুমকির মুখে। ভোলাগঞ্জের মতো প্রাকৃতিক স্থানগুলোকে রক্ষায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল হতে হবে। প্লাস্টিক দূষণ প্রকৃতি, অর্থনীতি এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করছে। পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতা ও অংশীদারিত্বমূলক উদ্যোগের মাধ্যমে ভোলাগঞ্জকে একটি পরিবেশবান্ধব ও সচেতন পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।”
পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তাদের বক্তব্যে তুলে ধরেন যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ছাড়া টেকসই পর্যটন সম্ভব নয়। ডাম্পিং স্টেশন স্থাপন ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমেই পর্যটন এলাকাগুলোর পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ ক্লাবের সদস্যরা এই উদ্যোগের স্থায়িত্বের উপর জোর দিয়ে বলেন, এটি শুধুমাত্র একটি একদিনের কর্মসূচি নয়, বরং একটি চলমান আন্দোলন। এই আন্দোলনের লক্ষ্য প্লাস্টিকদূষণ মুক্ত, সবুজ ও টেকসই বাংলাদেশ গড়ে তোলা।