স্টাফ রিপোর্টার: গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে নতুন উদ্যমে ঘুরে দাঁড়ানো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে আবারও আসীন হয়েছেন ডা. শফিকুর রহমান।
শনিবার রাতে ঘোষিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তিনি আগামী তিন বছরের জন্য দলের আমির হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
দলের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মা’ছুম আমির নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
গত ৯ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশের রুকন (সদস্য) গোপন ব্যালটে ভোট দেন। ভোট গণনা শেষে ২০২৬-২০২৮ কার্যকালের জন্য সর্বাধিক ভোট পেয়ে শফিকুর রহমানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
তবে ভোটের সংখ্যা ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর নাম প্রকাশ করা হয়নি।
জামায়াতের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, তিন বছরের জন্য আমির নির্বাচিত হন এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার পরামর্শক্রমে নায়েবে আমির, সেক্রেটারি জেনারেল ও অন্যান্য পদে দায়িত্ব বণ্টন করে থাকেন।
গত ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ডা. শফিকুর রহমান। পরবর্তীতে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়লে ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়। সুস্থ হওয়ার পর সম্প্রতি তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর সম্পন্ন করেছেন।
১৯৫৮ সালের ৩১ অক্টোবর মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন ডা. শফিকুর রহমান।
১৯৮৩ সালে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করে চিকিৎসা পেশায় যুক্ত হন তিনি।
স্কুলজীবনেই রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন শফিকুর রহমান—১৯৭৩ সালে যোগ দেন জাসদ ছাত্রলীগে। পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালে ইসলামী ছাত্রশিবিরে যুক্ত হয়ে সিলেট মেডিকেল কলেজ ও শহর শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি জামায়াতে ইসলামীর মূল রাজনীতিতে যোগ দেন।
ব্যক্তিজীবনে তিনি দুই কন্যা ও এক পুত্রের জনক; তিনজনই চিকিৎসক। স্ত্রী ডা. আমিনা বেগমও পেশায় চিকিৎসক এবং অষ্টম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।



