Shopping cart

  • Home
  • ফিচার
  • তীব্র শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রাম

তীব্র শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রাম

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫

তীব্র শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রাম।

তীব্র শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রাম।

রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর: নদ-নদীবেষ্টিত ও হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত সীমান্তঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামে হঠাৎ করেই জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। হাড়কাঁপানো ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় যবুথবু হয়ে পড়েছে এ জেলার মানুষ। এবারের শীত মৌসুমের শুরুতেই রাতভর বৃষ্টির মতো ফোঁটায় ফোঁটায় ঝরে পড়ছে ঘন কুয়াশা। বিকেল গড়াতেই শুরু হচ্ছে কুয়াশার দাপট, যা অনেক এলাকায় পরদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত স্থায়ী থাকছে।

মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। এর সঙ্গে উত্তরীয় হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। বেলা বাড়লেও দেরিতে সূর্যের দেখা মেলায় চরম বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষেরা। স্থানীয়রা জানান, টানা তিন দিন ধরে জেলায় সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যমতে, রোববার সকাল ৬টায় কুড়িগ্রাম জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতভাগ, যা শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেন না দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষ। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের শহিদ মিয়া বলেন, কাজ না করলে পেটে ভাত জোটে না। কিন্তু এই শীতে কাজ করলে হাত-পা জ্বালা করে, শরীর কামড়ায়। অন্যদিকে ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের বাসিন্দা খোকন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমরা গরিব মানুষ, কম্বল কেনার টাকা নেই। এখন পর্যন্ত কোনো মেম্বার বা চেয়ারম্যান আমাদের একটা কম্বলও দেয়নি।

কুড়িগ্রাম জেলার সদর উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মোঃ সফিকুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত শীতের কারণে তার ছোট সন্তান কয়েক দিন ধরে জ্বর, সর্দি ও কাশিতে ভুগছে। শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডাঃ স্বপন কুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, শীতের কারণে অন্যান্য সময়ের তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগী বেশি আসছে। অনেকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন, আবার কেউ কেউ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক অন্নপূর্ণা দেবনাথ জানান, চলতি শীতে জেলার ৯টি উপজেলায় অসহায় ও দুস্থ মানুষের জন্য প্রথম পর্যায়ে ২২ হাজার কম্বল এবং নগদ ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এই বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *