জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ছাত্রী হল নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলে বই চুরির ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ করায় হল প্রভোস্ট আঞ্জুমান আরার সাংবাদিককে হুমকি ও ছাত্রলীগের সহিংসতার প্রশংসা করে দেয়া বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
সংগঠনটির সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, “হল থেকে বই চুরি হওয়া অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কারণ, আজকে বই চুরি হলে কালকে অন্য কিছু চুরি হবে। সেক্ষেত্রে হলের মূল দায়িত্বে থাকা প্রভোস্ট ম্যাডাম বিষয়টি আমলে নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এটাই কাম্য।”
কিন্তু দেশ রূপান্তর পত্রিকার সাংবাদিক ফাতেমা আলীর প্রশ্নের জবাবে প্রভোস্টের আচরণ প্রসঙ্গে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “যখন ফাতেমা আলী তাকে প্রশ্ন করেন ‘ম্যাম, হল থেকে বই চুরি হয়েছে, সেক্ষেত্রে আপনাদের কী পদক্ষেপ?’ তার প্রতি উত্তর দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে মোটেও প্রত্যাশিত ছিল না। বরং তিনি ওই সাংবাদিককে ‘হলুদ সাংবাদিক’ বলে আখ্যায়িত করেন। অথচ ফাতেমা আলীর মত সাংবাদিকরাই বিগতদিনে আন্দোলন-সংগ্রামে আমাদের পাশে ছিলেন এবং তথাকথিত সাংবাদিকতার বাইরেও চিন্তাভাবনা করেন।”
একেএম রাকিব আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো সেক্টরে সমস্যা হলে স্বাভাবিকভাবেই ভিসি স্যার প্রশ্নের সম্মুখীন হন। একইভাবে হলে কোনো সমস্যা হলে প্রভোস্ট ম্যাডামও প্রশ্নের মুখোমুখি হবেন। এর মানে হলো যেখানে সমস্যা, সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা এবং সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া। কোনোভাবেই বলা হচ্ছে না যে আপনি সেখানে বসে মেয়েদের বই পাহারা দেন।”
তিনি বর্তমান পরিস্থিতিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার প্রবণতার সমালোচনা করে বলেন, “এখন খুবই লক্ষণীয় হয়ে উঠেছে যে, কোনো সমস্যা ঘটলেই তা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সমস্যার সমাধানে দায়িত্বশীলতা এবং রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা জরুরি।”
এর আগে দেশ রূপান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রভোস্ট অধ্যাপক আঞ্জুমান আরা সাংবাদিক ফাতেমা আলীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আগে ছাত্রলীগ ছিলো না? তারাই ভালো ছিলো ধরে ধরে পিটাইতো, ঐটাই ঠিক ছিল।’ পরবর্তীতে তিনি ওই সাংবাদিককে রাত ১২টার দিকে শৃঙ্খলা কমিটির সভায় হাজির হওয়ার নোটিশ দেন।