Shopping cart

মূল্যস্ফীতি (Inflation) কারণ ও প্রভাব

নভেম্বর ১৬, ২০২৪

ছবি সংগ্রহীত

ছবি সংগ্রহীত

স্টাফ রিপোর্টার: সহজ ভাষায় মূল্যস্ফীতি (Inflation) একটি অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া, যেখানে নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য ও সেবার দাম বৃদ্ধি পায়। এটি একটি দেশের অর্থনীতির প্রাকৃতিক অংশ হলেও অতিরিক্ত মূল্যস্ফীতি ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।

মূল্যস্ফীতির কারণ সাধারণত দুটি প্রধান ভাগে বিভক্ত:

১. চাহিদা বৃদ্ধি জনিত মূল্যস্ফীতি (Demand-Pull Inflation):

যখন বাজারে পণ্য ও সেবার চাহিদা সরবরাহের তুলনায় দ্রুত বৃদ্ধি পায়, তখন দাম বাড়ে। উদাহরণস্বরূপ, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, আয় বৃদ্ধি, বা সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির কারণে চাহিদা বেড়ে যেতে পারে।

২. ব্যয় বৃদ্ধি জনিত মূল্যস্ফীতি (Cost-Push Inflation):

উৎপাদনের খরচ বৃদ্ধি পেলে পণ্য ও সেবার দাম বাড়ে। এটি ঘটতে পারে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি, শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি, বা মুদ্রার মান কমে যাওয়ার ফলে।

অন্যান্য কারণ:

অতিরিক্ত মুদ্রা সরবরাহ: কেন্দ্রীয় ব্যাংক যখন অতিরিক্ত মুদ্রা ছাপে, তখন বাজারে মুদ্রার মান কমে যায় এবং দাম বাড়ে।

বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি: আমদানির ওপর নির্ভরশীল পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেলে এটি অভ্যন্তরীণ বাজারেও প্রভাব ফেলে।

রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিতিশীলতা: অস্থিতিশীল পরিস্থিতি উৎপাদন ও সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত করতে পারে।

প্রভাব:
মূল্যস্ফীতির ফলে সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পায়। সঞ্চয় কমে যায় এবং বিনিয়োগে অনীহা দেখা দেয়। উচ্চ মূল্যস্ফীতি মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতা কমিয়ে অর্থনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।

সমাধান:
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বাড়াতে পারে এবং মুদ্রার সরবরাহ সীমিত করতে পারে। একইসঙ্গে উৎপাদন বৃদ্ধি ও বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার নীতিমালা প্রণয়ন করতে পারে।

মূল্যস্ফীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ইস্যু, যা সঠিকভাবে মোকাবিলা করা গেলে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনা সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *