দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ): সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে পূর্ববিরোধের জেরে উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের রগারপাড় (বড়ময়দান) গ্রামের মখদ্দুস আলী’র পুত্র ফয়জুল হককে মারধর করে গুরুতর আহত অবস্থায় খালে ফেলে গেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধায় উপজেলার নরসিংপুর ইউপি’র রগারপাড় (বড়ময়দান) গ্রামের হাতির ভাঙা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে ।
আহতের পরিবার ও প্রতক্ষদূর্শী সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের কমরু মিয়া’র পুত্র আনর মিয়া,ইসলাম উদ্দিন ও সিরাজ মিয়া’র সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো মখদ্দুস আলী’র পুত্র ফয়জুল হক’র পরিবারের। এতে বেশ কয়েকদিন আগে দুপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বেশ কয়েকজন আহত হয়। এঘটনায় দোয়ারাবাজার থানায় মামলা চলাকালীন অবস্থায় মখদ্দুস আলী’র পুত্র ফয়জুল হক ও তার পরিবারকে বাড়িতে উঠতে দেয়নি প্রতিপক্ষরা। দীর্ঘদিন বাড়ির বাহিরে থাকার পর শনিবার বিকালে বাড়িতে আসেন ফয়জুল হক। বাড়িতে আসার পর সন্ধায় বাজারে যান বাজার হতে মাগরিবের পর পর বাড়িতে ফেরার পথে রগারপাড় হাতির ভাঙা এলাকায় উৎপেতে থাকা কমরু মিয়া’র পুত্ররা ফয়জুল হকে আক্রমন করে। পরে তার শু-চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষরা তাকে হাতির ভাঙ্গা খালে ফেলে রেখে যান।
আহতের ভাই আবুল হোসেন জানান,কমরু মিয়া’র পুত্ররা ডাকাত প্রক্রিতির লোক। তারা পূর্ববিরোধের জেরে নিজ বসতঘরে থাকতে দিচ্ছেন না বেশ কয়েক মাস ধরে। হুমকি দেয় যে বসতঘরে থাকার চেষ্টা করলে সবাইকে আগুন লাগিয়ে অথবা যে কোনো ভাবে প্রানে হত্যা করবে। তাছাড়া তারা স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় বাড়ি থেকে বের হয়ে নিরাপদে কোথায়ও যেতে পারবেন না। গেলে ফয়জুল হক ও তার পরিবারকে মারধর করে প্রানে মেরে ফেলবে, এমন ভয়ে তারাও বাড়িতে আসেনি। শনিবার দীর্ঘদিন পর বাড়িতে আসায় তারা রাস্তায় পেয়ে লোকজন নিয়ে অস্ত্র-স্বস্ত্র নিয়ে উৎপেতে থাকে এবং সুযোগ বুঝে প্রানে মারার উদ্দেশ্য আক্রমন করে। পরে ফয়জুল হকের চিৎকার শুনে লোকজন আসতে থাকলেও মরে গেছে ভেবে ফেলে রেখে যায়। আত্নীয় স্বজনর তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে আশংঙ্কা জনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এবিষয়ে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল হক জানান,ঘটনার পর পর পুলিশ ওই এলাকা পরিদর্শন করেছে। তাদের মধ্যে জমিজমা সক্রান্ত পূর্ব বিরোধ চলছিলো। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।