Shopping cart

  • Home
  • সারাদেশ
  • সুনামগঞ্জ
  • দোয়ারাবাজারে ভেজাল বীজ ব্যবসায়ী, পলাতক আওয়ামী দোসরদের লাইসেন্স বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন।

দোয়ারাবাজারে ভেজাল বীজ ব্যবসায়ী, পলাতক আওয়ামী দোসরদের লাইসেন্স বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন।

নভেম্বর ৬, ২০২৪

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ): সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে উচ্চমূল্যে ভেজাল বীজ বিক্রয়কারী ও লাইসেন্স বানিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন না এমন আওয়ামীলীগের দোসরদের লাইসেন্স বাতিল ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন কৃষকরা।

বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকালে উপজেলার নরসিংপুর বাজারে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে ইউনিয়নের শতাধিক কৃষক অংশগ্রহণ করেন। এসময় অসাধু বীজ ব্যবসায়ী ও পলাতক লাইসেন্সদারী ( আওয়ামিলীগ নেতা) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ ক্ষতিপূরণের দাবি জানান।

মানববন্ধনে কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, নরসিংপুর বাজারের সকল বীজের লাইসেন্স মালিকরা দুষ্টু প্রকৃতির লোক, আওয়ামীলীগের দোসর। ক্ষমতার প্রভাবে বাজারের ভালো ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স বাতিল করিয়ে তারা লাইসেন্স করে দুইনাম্বার ব্যবসা করে আসছে। বাজারে আর কেউ লাইসেন্স করার সুযোগ না পাওয়ায় অসাধু এই ব্যবসায়ীদের দুইনাম্বার বীজ এনে তাদের নিজেদের ইচ্ছেমতো ব্যবসা করে আসছে। অনেক লাইসেন্সের মালিক ( আওয়ামীলীগ নেতা) পলাতক রয়েছেন। তাদের লাইসেন্স আছে,ব্যবসা নেই এদের লাইসেন্স বাতিল ও নিম্মমানের বীজ দামি প্যাকেটজাত করে উচ্চমূল্যে বিক্রি করে তাদের সঙ্গে দিনের পর দিন যারা প্রতারণা করে আসছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দাবি জানান।

 

বক্তারা আরও বলেন, প্রতারিত হয়ে ক্ষতিপূরণের দাবিতে ও আইনগত ব্যবস্থা নিতে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও). উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন (১’শত কৃষকের গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে)কৃষকদের পক্ষে নানু মিয়া নামে এক কৃষক। কিন্তু অভিযোগের একসপ্তাহে ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নেহের নিগার তনু কোন ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো আরও গতকাল মঙ্গলবার কৃষকরা তাদের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে গেলে তিনি তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন।

স্থানীয় নরসিংপুর বাজারের ব্যবসায়ী সৈয়দ আহমদ ও আলী হোসেন’র যৌথভাবে পরিচালিত (লাইসেন্স বিহীন)বিজ, কিটনাসক ও সারের দোকানের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) লিখিত এই অভিযোগ দায়ের করেন কৃষকরা।

মানববন্ধনে প্রতারিত শতাধিক চাষিরা অংশগ্রহণ করে।

এ বিষয়ে বীজ দোকানদার আলী হোসেন দাবি করেন কোম্পানির কারণে এমনটি হয়েছে।

কোম্পানি থেকে বীজ আনা হয়েছে, তারা যে রুপ প্যাকেটে বীজ দিয়েছে একই প্যাকেট সে বিক্রি করছে। বীজে কোন প্রতারণা করা হয়নি।

এদিকে কৃষি কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ মহসিন জানান, কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *