Shopping cart

  • Home
  • সারাদেশ
  • দোয়ারাবাজারে শেষ সময়ে তুলির আঁচড়ে সাজছে দূর্গা

দোয়ারাবাজারে শেষ সময়ে তুলির আঁচড়ে সাজছে দূর্গা

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫

দোয়ারাবাজারে শেষ সময়ে তুলির আঁচড়ে সাজছে দূর্গা।

দোয়ারাবাজারে শেষ সময়ে তুলির আঁচড়ে সাজছে দূর্গা।

সোহেল মিয়া, দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ): সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে শেষ সময়ে তুলির আঁচড়ে সাজছে দূর্গা। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) শুরু হবে এ পূজা। দুর্গাপূজা ঘিরে দোয়ারাবাজারে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির কারিগররা। খড়, কাঠ, সুতা আর মাটি দিয়ে নিপুণ হাতে তৈরি করছেন প্রতিমা। পূজা যতই ঘনিয়ে আসছে, শিল্পীদের ব্যস্ততা ততটাই বাড়ছে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ পূজা মন্ডপের সাজগোজের কাজ শেষের পথে।

জানা যায়,এবছর দোয়ারাবাজার উপজেলায় ১৯ টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

পূজাকে সামনে রেখে নিরাপত্তা টহল জোরদার করেছে উপজেলা প্রশাসন। রাতভর বিভিন্ন পূজা মন্ডপে পাহারা দিতে দেখা গেছে থানা পুলিশকে। দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ জানিয়েছে পূজা ঘিরে কেউ যেনো এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট না করতে পারে সেই লক্ষে পূজা মন্ডপের সাজগোজের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই পূজা মন্ডপের আশপাশে নিরাপত্তা টহল জোরদার করা হয়েছে।

দোয়ারাবাজার উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি মণ্ডপে প্রতিমার মাটির কাজ শেষ হয়েছে। শুরু হয়ে গেছে রঙ ও সাজসজ্জার কাজ। দেবীকে সাজিয়ে তুলছে নতুন রূপে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে দুর্গা, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, অসুর, সিংহ, মহিষ, প্যাঁচা, হাঁস, সর্পসহ অন্যান্য প্রতিমা রঙের কাজ চলছে। রাত জেগে কাজ করছেন কারিগররা। মন্দিরে মন্দিরে চলছে ডেকোরেশনের কাজ।

দোয়ারাবাজার সদরে সার্বজনীন দুর্গা মন্দির ও বিদ্যা জননী যুবক ফোরাম মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, শেষ সময়ে তুলির আঁচড়ে সাজছে মন্দিরগুলো।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পঞ্জিকা অনুযায়ী গত ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্যে দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠী, ২৯ সেপ্টেম্বর সপ্তমী, ৩০ সেপ্টেম্বর অষ্টমী, ১ অক্টোবর নবমী এবং ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্যে দিয়ে ৫ দিনব্যাপী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার পরিসমাপ্তি ঘটবে।

দোয়ারাবাজার সদরে অবস্থিত সার্বজনীন পূজা মন্ডপের সভাপতি বাবু বাধব রায় বলেন, পূজার প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে।অপ্রীতিকর কিছু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমার নিশ্চিন্তে আছি। দোয়ারাবাজারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও আন্তরিক আছেন।

উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ আমাদেরকে যথেষ্ট সহযোগিতা করছেন। নিয়মিত পুলিশ পাহারা দিচ্ছেন।

দোয়ারাবাজার উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক এসার আহমদ বলেন,দোয়ারাবাজারে প্রতিটা পূজা মন্ডপে ছাত্র প্রতিনিধি ভিজিট করছে। ছাত্রজনতার পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত আছে।

এদিকে,উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে,থানা পুলিশের পাশাপাশি, আনসার সদস্য,গ্রাম পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকরা পূজা চলাকালীন কাজ করবে।

দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.জাহিদুল হক বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীর ভাইয়েরা তাদের ধর্মীয় উৎসব যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদযাপন করতে পারেন, সেজন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। রাতে ও দিনে আমাদের টহল পুলিশ নিয়মিত ভিজিট করছে। উৎসব শুরু হলে প্রতিটি পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তার জন্য আনসার, গ্রাম পুলিশ, পুলিশ থাকবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুপ রতন সিংহ বলেন, আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গোৎসব পালনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়েও কঠোর নজরদারি রয়েছে। বিভিন্ন মন্দির নিয়মিত পরিদর্শন করছি। আমরা মন্দির কমিটির সাথে কথা বলেছি। আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। দুর্গাপূজায় যাতে সবার অংশগ্রহণ থাকে এবং শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়, তার জন্য যা প্রয়োজন সেটা প্রশাসন করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *