বুধবার (৯ অক্টোবর ২০২৪) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ‘হেমায়েত উদ্দিন’ জামিন মঞ্জুরের করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী ‘আবদুল হামিদ’ বলেন, ‘অসুস্থতা ও বয়স বিবেচনা বিশ্লেষণ করে আদালত ‘এম এ মান্নান’ এর জামিন দিয়েছেন। আদালতের রায়ে আমরা খুশি।’ এর আগে বেলা এগরটার টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনানির পূর্বে বিএনপি ও আওয়ামীলীগ পন্থী আইন’জীবীদের হট্ট গোলের কারণে শুনানি না করে এজলাস ছাড়েন বিচারক ‘মো. হেমায়েত উদ্দিন’।
প্রত্যক্ষ’দর্শীরা জানান, বাদী ও আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জামিন শুনানি শুরু করতে চাইলে বাদী পক্ষের আইনজীবীরা আদালতকে বলেন মামলাটি অস্বাভাবিকভাবে তারিখ পড়েছে। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর ২০২৪) মিস কেস করে আজ তারিখ পড়েছে। এটি অস্বাভাবিক ঘটনা। বাদী পক্ষের আইনজীবীরা এই মামলার জামিন শুনানিতে প্রস্তুত নন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে তুমুল হট্ট-গোল শুরু হয়। এক পর্যায়ে আদালতের বিচারক এজলাস ছেড়ে খাস কামরায় চলে যান ‘মো. হেমায়েত উদ্দিন’। পরে আদালত বিকেল ২.৩০ মিনিটের দিকে মামলার জামিন শুনানি সময় নির্ধারণ করে দেন, এরপর এ মামলার রায় হয়। বাদী পক্ষের আইনজীবী ‘মাসুক আলম’ বলেন, মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) নিম্ন আদালতে সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী ‘এম এ মান্নান’ এর জামিন আবেদন করলে জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে ওই দিন বিকেলে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ, জজ ‘মো. হেমায়েত উদ্দিন’ এর আদালতে মিস কেস দাখিল করলে বুধবার (৯ অক্টোবর) মামলার জামিন শুনানি সময় নির্ধারণ করা হয়। শুনানি শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী ‘এম এ মান্নান’ জামিন পেয়েছেন।
বাদীপক্ষের আইন জীবী ‘আব্দুল হক’ বলেন, রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবীরা বাদীপক্ষে অবস্থান গ্রহণ না করে আসামি পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। এতে আদালতের ন্যায় বিচার বাধা গ্রস্ত হয়। এই মামলায় অস্বাভাবিক ভাবে মিস কেস ও তারিখ পড়ে। বাদী পক্ষের আইনজীবীরা জামিন শুনানির জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। তাই বাদী পক্ষের আইনজীবীরা জামিন শুনানির বিরোধিতা করেছেন। পরে তুমুল হট্ট-গোলের মধ্যে আদালত এজলাস ছেড়ে খাস কামরায় চলে যান। আজ ২.৩০ মিনিটে জামিন শুনানির সময় নির্ধারণ করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ১ শিক্ষার্থীর ভাই ‘হাফিজ আলী’ বাদী হয়ে (৯৯) জনকে আসামি করে সুনামগঞ্জ দ্রুত বিচার আদালতে মামলা করেন। মূলত এই মামলায় কারাগারে ছিলেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ‘এম এ মান্নান’।