দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ): সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে পূর্ব বিরোধের জেরে পুকুরের মাছ লুট করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১ টার দিকে উপজেলার দোয়ারাবাজার ইউনিয়ন ইউপির লামাসানিয়া গ্রামের মুতি মিয়া’র পুত্র হাজ্বী হেলাল উদ্দিন (৮০) এর পুকুরে এ ঘটনাটি ঘটে।
এতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও তার আত্মীয় স্বজনরা।
শনিবার বিকালে সরেজমিনে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত হেলাল উদ্দিন ও বক্তারা বলেন, গত ১৩ এপ্রিল স্টক করে প্রতিবেশি মিয়া হোসেন (৬৫) মারা যায়। ওইদিন বিকালে মিয়া হোসেনের গরু হেলাল উদ্দিনের ধান খাওয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে তর্কবির্তক হয়। কিন্তু মিয়া হোসেন স্টক করে মারা গেলেও ঘটনার কয়েকমাস পর পূর্ব বিরোধের প্রতিশোধ নিতে মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করেন মিয়া হোসেন সন্তানরা। তাদের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় জেলে থাকা অবস্থায় গত ২৪ অক্টোবর মৃত মিয়া হোসেনের আত্নীয় স্বজনরা আমার বাড়ি ঘরে ভাঙ্গচুর করে লুটপাট করে বাড়িতে থাকা গরু স্বর্নালংন্কার ও আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায় এবং ৫ টি পুকুরের মাছ ও লুট করে নিয়ে যায়। এতে আমাদের প্রায় ২২ লক্ষাধিক টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়। দীর্ঘদিন কারাভোগের পর জীবিকার তাগিদল গত দিন ধরে হেলাল উদ্দিনের ছেলেরা বাড়ির বাহিরে কাজে থাকার সুযোগে লামাসানিয়া গ্রামের মৃত: মিয়া হুসেনের পুত্র জসিমউদদীন (৩০), মৃত. সিকান্দার আলী’র পুত্র শফিকুনুর (৪৫), মানিক মিয়া ( ৩৫). আইন উদ্দিন (৩২), মনির হুসেন (২৭) ও জাবেদ মিয়া (২৫). মৃত: ছিকান্দর আলী’র পুত্র জিলু মিয়া (৫৫), মো. করিম মিয়ার পুত্র জাহাঙ্গীর হোসেন (২৭). আলমগীর হোসেন (৩০).ও সুজন মিয়া (২৩) তাদের বাড়ির নিকটবর্তী পুকুর হতে জোরপূর্বক মাছ লুট করে নেয়। মামলা হামলা আর তাদের প্রভাবের ভয়ে তাদের কেউ কিছু বলতে রাজি নয়।
সর্বশেষ, শনিবার (২৩ নভেম্বর) হেলাল উদ্দিনের বাড়িতে লোকজন কম থাকায় দুপুর ১ টার দিকে পুকুরের মাছ মাছ লুট করে নেয় তারা। এতে অন্তত ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে দাবি তাদের।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মৃত. মিয়া হোসেনের পুত্র মনির হোসেন বলেন, আমার বাবাকে প্রতিপক্ষের লোকজন এই পুকুরের জন্যই হত্যা করছে।
মাছ লুটের অভিযোগটি মিথ্যা দাবী করে বলেন, আমাদের পুকুরের মাছ আমরা মারছি। এলাকার মানুষ জানে এটা আমাদের পুকুর। তারা মিথ্যা অভিযোগ এনেছে আমাদের উপর।
এবিষয়ে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল হক জানান,মাছ লুটের বিষয়টি সম্পর্কে জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বার্তা প্রেরক:
সোহেল মিয়া, দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ):
মোবা:০১৭০৯৯০১৬১৮