দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ): ইংল্যান্ডের আয়েশী জীবনও আটকাতে পারেনি বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা আজিজকে। দোয়ারাবাজার উপজেলা বিএনপির নিবেদিত প্রান আবু হেনা আজিজের পিতা-মাতা থেকে শুরু করে ভাই-বোন,আত্মীয় স্বজন ও নিজের স্ত্রী সন্তানদের সাথে ইংল্যান্ডের মাটিতে আয়েশী জীবন ফেলে রেখেও দেশ – মাটির টানে দলকে সুসংগঠিত করতে গ্রাম হতে গ্রামের দুলো মাটিতে জীবন পার করছেন আবু হেনা আজিজ।
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তিনি।
আবু হেনা আজিজ সমাজ উন্নয়ন, মানবকল্যাণে ও জাতীয়তাবাদের নিবেদিতপ্রাণ এক ব্যক্তি। লন্ডনে পরিবার-পরিজন নিয়ে দীর্ঘকাল বসবাস করলেও, দেশের প্রতি টান আর মানুষের পাশে দাঁড়ানোর তীব্র দায়বোধ তাকে ইংল্যান্ডের মাটিতে আটকে রাখতে পারেনি। রাজনৈতিক ভাবে শত নির্যাতন,নিপিড়নের পরেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির হাতকে শক্তিশালী করতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর নির্দেশেই দেশের মাটিতে চষে বেড়াচ্ছেন।
আবু হেনা আজিজ, ১৯৯৪ সালে সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি নেতা ফজলুল হক আছপিয়ার হাত ধরে সুনামগঞ্জে ছাত্ররাজনীতিতে যোগদান করেন।
১৯৯৫ সালে লন্ডনে পাড়ি জমান তিনি। পরে ১৯৯৭ সাল থেকে যুক্তরাজ্য বিএনপি’র গেটার লন্ডন নামে একটি সংগঠনে কালচারাল সেক্রেটারি হিসেবে প্রবাসের মাটিতে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে যোগদেন।
তখন সংগঠনটির সেক্রেটারি ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক কয়ছর আহমদ চৌধুরী। দীর্ঘ কয়েকবছর পর ২০১৩ সালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে যুক্তরাজ্য বিএনপির সদস্য ও তারেক রহমানের হাত ধরেই সাসেক্স বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহন ও পালন করেন তিনি।
দীর্ঘদিন প্রবাসে জাতীয়তাবাদ এর আদর্শ বাস্তবায়নে সময় দেওয়ার পর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশেই ২০১৬ সালে দেশে চলে আসেন এবং বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজানের হাত ধরেই ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ইউপি নির্বাচনে ৫ হাজার ৫০০ ভোট পেয়ে মান্নারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তখন আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছিলেন ৪ হাজার ভোট।
ইংল্যান্ডের আয়েশী জীবন রেখে দেশের মাটিতে পূনরায় রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পর দোয়ারাবাজার উপজেলার বাহিরেও জেলা শহর সুনামগঞ্জ ও বিভাগিয় শহর সিলেটসহ সংগঠনের নেতৃত্বে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কেন্দ্রীয় পোগ্রাম বাস্তবায়নে নিজের ব্যক্তিশ্রম ও আর্থিক সহযোগিতা করে আসছেন।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগের রোষানলে পরে নানান ভাবে নির্যাতন,নিপীড়নের স্বীকার হয়েও একপর্যায়ে এলাকা ছাড়া হয়েছিলেন আবু হেনা আজিজ। পরিবার পরিজন দেশের বাহিরেও নিজে ইংল্যান্ডের নাগরিক হওয়ায় বিদেশে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও দেশ ছেড়ে যেতে পারেননি তিনি। বিগত দিনে দেশের রাজনীতিতে এক সংকটাপন্ন সময় পার হলেও দীর্ঘ ২ বছর নিজ পরিবারকে ইংল্যান্ডের মাটিতে রেখে আবু হেনা আজিজ টানা দু’বছর দেশের মাটিতে দিন পার করছেন।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে স্বৈরাচার পতনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করে গেছেন তিনি।
৫ আগষ্টের আগেও পুলিশ কয়েকবার বাসা ঘেরাও করায় আন্দোলন চলাকালীন পালিয়ে থাকতে হয়েছে আবু হেনা আজিজকে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির একনিষ্ঠ কর্মী আবু হেনা আজিজের ত্যাগ আর শ্রমের বিনিময় গত ২১ জুলাইয়ে নবগঠিত মান্নারগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক হিসেবে তাকে দায়িত্ব প্রদান করে দলটি।
মান্নারগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আবু হেনা আজিজ ৭ ভাই আর ৩ বোনের মধ্যে তৃতীয়।
ব্যাক্তি পারিবারিক জীবনে স্ত্রী,৪ মেয়ে ও ১ ছেলের জনক তিনি।