Shopping cart

  • Home
  • বাংলাদেশ
  • অন্যান
  • দিরাইয়ে অপরিকল্পিত সড়ক উন্নয়নে পথে বসেছে এক পরিবার, লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দায়ের

দিরাইয়ে অপরিকল্পিত সড়ক উন্নয়নে পথে বসেছে এক পরিবার, লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দায়ের

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫

দিরাইয়ে অপরিকল্পিত সড়ক উন্নয়নে পথে বসেছে এক পরিবার, লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দায়ের।

দিরাইয়ে অপরিকল্পিত সড়ক উন্নয়নে পথে বসেছে এক পরিবার, লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দায়ের।

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় সরকারি গ্রামীণ রাস্তার ওপর অপ্রয়োজনীয় মাটি ভরাটের ফলে একটি পরিবারের আয়ের একমাত্র উৎস বন্ধ হয়ে গেছে। উপজেলার ৪নং চরনারচর ইউনিয়নের লৌলারচর গ্রামে সিসি ও আরসিসি ঢালাই করা পাকা রাস্তার ওপর মাটি ভরাট করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রকল্প কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে ভুক্তভোগী মোঃ মোক্তার হোসেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়ার নিকট এই অভিযোগটি দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লৌলারচর গ্রামে শ্যামারচর মেইন রোড থেকে সুরমা নদীর পাড় পর্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ পাকা রাস্তা ছিল। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ১০-১৫টি গ্রামের মানুষ ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করত। রাস্তার পাশেই মোক্তার হোসেনের একটি মুদির দোকান ছিল, যা থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০/১৫ দশ/পনের হাজার টাকার বিক্রি হলে আয় হতো একহাজার টাকা আয় করে এবং তার চার সদস্যের পরিবার স্বচ্ছলভাবে চলত।

কিন্তু চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমোদনে ওই পাকা রাস্তার ওপর নতুন করে মাটি ভরাটের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। মোক্তার হোসেন রমজান মাসে সিলেটে অবস্থানকালীন তার অনুপস্থিতিতে এই কাজ সম্পন্ন করা হয়।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউপি চেয়ারম্যান পরিতোষ রায় ও ৪নং ওয়ার্ড সদস্য খোকন কিবরিয়া গ্রামবাসীর মতামত উপেক্ষা করে ব্যক্তিগত স্বার্থে এই অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পটি গ্রহণ করেন। স্থানীয়দের দাবি, সিসি ঢালাই করা রাস্তার ওপর মাটি ভরাট করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। অভিযোগ উঠেছে, ৫টি প্রকল্পের সভাপতি খোকন কিবরিয়া এবং তার পিতা পিআইসি সভাপতি আব্দুল মতিন তালুকদার মিলে সরকারি লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এই কাজে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনির হোসেনের যোগসাজশ ছিল বলেও ভুক্তভোগী দাবি করেন।

পাকা রাস্তর ওপর মাটি ফেলায় সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে জনচলাচল ও যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে মোক্তার হোসেনের দোকানের ক্রেতা সমাগম বন্ধ হয়ে যায় এবং বৃষ্টির পানিতে দোকানে থাকা আলু, পেঁয়াজসহ প্রায় ২-৩ লক্ষ টাকার মালামাল নষ্ট হয়।

বর্তমানে মোক্তার হোসেনের আয়ের পথ সম্পূর্ণ বন্ধ। একসময়ের স্বচ্ছল ব্যবসায়ী এখন নিঃস্ব হয়ে কোন কাজ না পেয়ে দিনমজুর হিসেবে কাজ করে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দেওয়াও তার জন্য এখন দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

ভুক্তভোগী মোক্তার হোসেন ইতোমধ্যেই জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। আবেদনে তিনি এই দুর্নীতির তদন্ত এবং তার পরিবারের জন্য উপযুক্ত সরকারি আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও সহায়তা প্রার্থনা করেছেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের বক্তব্য পাওয়া না গেলেও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারটি এখন ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *