Shopping cart

লাকসামে অগ্নিকাণ্ডে তিনটি বসতঘরসহ দুটি গরু পুড়ে ছাই

মার্চ ৫, ২০২৫

রবিউল হোসাইন সবুজ, কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার বাকই দক্ষিণ ইউনিয়নের কোঁয়ার গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।বসতঘরসহ দুটি গরু আগুনে পুড়ে মারা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, মশার কয়েল থেকে এই আগুনের সূত্রপাত।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাত ৮ টার দিকে তারাবী নামাজ সময় ভুক্তভোগীর আত্নচিৎকারে মসজিদে থেকে মুসল্লী ও আশপাশের বাসিন্দাদের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘরে বসবাসকারীরা প্রাণে বেঁচে গেলেও গোয়ালঘরে থাকা বাচুসহ পাঁচটি গরু ও বসতঘরের আসবাবপত্র পুড়ে যায়।এতে দুটি গরু আগুনে পুড়ে মারা যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোঁয়ার গ্রামের সৈয়দ মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ হোসেন তিনি সৌদি প্রবাসে কর্মরত। প্রবাসী মোহাম্মদ হোসন সে প্রায় দুই বছর পূর্বে দেশের জমি ক্রয় করে নতুন ভিটা তৈরি এবং বসবাসের জন্য টিনের ঘর ও গরু লালনপালনের জন্য গোয়ালঘর তৈরি করেন।

গরু লালনপালনে জন্য তার স্ত্রী মাকসুদা বেগম দেখবাল করেন। হোসেন প্রবাস থেকে তার ক্ষুদ্র আয়ের অর্থ ও তার স্ত্রী গরুর দুধ বিক্রি করে সংসার চালাতেন। গরু লালনপালন তাদের প্রধান পেশা। প্রতি বছর ঈদকে সামনে রেখে দুই-তিনটি ষাড় বড় করে বিক্রি জন্য রাখতেন।এবারও তার দুটি গাভি, দুইটি বড় ষাড় ও একটি বাছুর ছিল। মঙ্গলবার রাতে তার বাচুসহ ৫টি গরুর মধ্যে চরটি গরু আগুনে পুড়ে যায়।এতে বড় দুটি গরু মারা যায়।

প্রবাসী হোসেনের মামাত ভাই দুলাল মিয়া ও এলাকার বাসিন্দা ইমান হোসেন যুগান্তরকে বলেন, প্রবাসীর স্ত্রী মাকসুদা বেগম ইফতারের পর গোয়ালঘরে গরুকে খাবার ও কয়েল ধরিয়ে দিয়ে তারাবি নামাজ পড়ার জন্য বসতঘরে আসেন। এসময় ঘরে আগুন লেগেছে বুঝতে পেরে তিনি চিৎকার করেন।

এসময়ে তারাবী নামাজ পড়তে আমরা সবাই মসজিদে। আগুনে সংবাদ পেয়ে দেখি সব পুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে। বাড়ির আশপাশের বাসিন্দারা এসে তাদের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।

হোসেনের স্ত্রী ও সন্তানেরা প্রাণে বেঁচে গেলেও গোয়ালঘরে থাকা তিনটি গরুসহ বসতঘরের আসবাবপত্র পুড়ে যায়। গরুগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় চার লাখ টাকা। ধারণা করা হচ্ছে, গোয়ালঘরের কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

খবর পেয়ে পরিদর্শনে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার হামিদ ও থানার ওসি নাজনীন সুলতানা।

লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাউছার হামিদ বলেন, ‘আগুন লাগার খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে আমি ও থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে আর্থিকভাবে সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। আমরা তার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *