আহমদ বিলাল খান: একটি প্রজন্মের নেতৃত্বের অবসান মানেই শুধু একটি রাজনৈতিক অধ্যায়ের সমাপ্তি নয়, বরং জাতির হৃদয়ে গভীর এক শূন্যতা। সেই শোকের আবহে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায়ও পালিত হয়েছে বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ের কর্মসূচি। রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত তাঁর নামাজে জানাজার সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শ্রদ্ধা জানান স্থানীয় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে রাঙামাটি পৌরসভা চত্বরে মুসল্লিদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। কিশোর, তরুণ-বৃদ্ধ, শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও শ্রমজীবীরা বড় পর্দার সামনে নীরবতায় দাঁড়িয়ে রাজধানীর মূল জানাজার দৃশ্য অনুসরণ করেন। উপস্থিতদের চোখেমুখে ফুটে ওঠে গভীর বেদনা ও শ্রদ্ধা।
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া সাধারণ মানুষ ও নেতৃবৃন্দ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কেবল একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান ছিলেন না; তিনি ছিলেন গণতন্ত্র, সাহস ও আপসহীনতার প্রতিচ্ছবি। সংকটময় সময়ে মানুষের ভোটাধিকার ও ন্যায়বিচারের প্রশ্নে তাঁর অবস্থান তাঁকে আলাদা মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেছে। পার্বত্য রাঙামাটির মানুষের কাছেও তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ছিল সুদৃঢ়।
কর্মসূচির শেষভাগে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক পথচলা, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে অবদান এবং সাধারণ মানুষের কল্যাণে ভূমিকার কথা স্মরণ করা হয়। প্রার্থনায় আল্লাহর কাছে তাঁর জন্য জান্নাতুল ফেরদৌস কামনা করা হয়।
জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মো. আব্দুল সালাম বাবলু বলেন, এই শোকানুষ্ঠান সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দায়িত্ব পালন করেন। স্বেচ্ছাসেবকদের তৎপরতা ও প্রশাসনের সহায়তায় পুরো আয়োজন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শেষ হয়।
অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মোহাম্মদ আবুল হোসেন রতন বলেন, সব মিলিয়ে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত জানাজার সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে রাঙামাটিতে পালিত এই আয়োজনটি পরিণত হয় এক গভীরভাবে স্মরণীয় ও আবেগঘন বিদায়ে। সেখানে শ্রদ্ধা, প্রার্থনা আর নীরব বেদনা মিলেমিশে তৈরি করে এক অনন্য মুহূর্ত, যা উপস্থিত সবার হৃদয়ে গভীর ছাপ রেখে যায়।



