দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ): সুনামগঞ্জের ছাতক-দোয়ারাবাজার উপজেলার মধ্যবর্তী ইছামতী বাজারে পাথর ব্যবসায়ী মানিক মিয়া হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার এবং আওয়ামী গ্যাং কামরুজ্জামান কামরুল অনুসারী কর্তৃক মিথ্যা মামলা দিয়ে ন হয়রানিসহ অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
বুধবার ( ৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে ছাতকের ইসলামপুর ইউপি’র ইছামতী বাজার ব্রিজে স্থানীয় বনগাঁও, দারগাখালি, নিজগাঁও, বাগানবাড়ি, গাংপার, নোয়াকোট, কাজিরগাঁও, আলমপুর ও রহমতপুর এলাকাবাসীর ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বনগাঁও আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল হক, ইউপি সদস্য শফিক আলী, ব্যবসায়ী বিল্লাল আহমদ, ইলিয়াস আলী, রুস্তুম আলী, আবুল মিয়া, ডাক্তার আব্দুন নুর, হাজী আলতাব মিয়া, আমির আলী, আবদুল হক, লিটন মিয়া, বাহার মিয়া, নিহতের ছেলে শিশু মাহফুজ মিয়া, নিহতের ভাই ফজল করিম, রমজান আলী, এলাইছ মিয়া বতু, হাবিব মিয়া, আবদুল মন্নান, আবদুর রউফ, কনু মিয়া, আমির আলী, ব্যবসায়ী আকবর আলী।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ৩০ অক্টোবর ইছামতি বাজারে পাওনা টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে বনগাঁও গ্রামের চুনাপাথর ব্যবসায়ী মানিক মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করে আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান কামরুল ও তার আত্মীয়স্বজনরা।
সীমান্তের সন্ত্রাসী কামরুল বাহিনীর হাতে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয় মানিক মিয়াকে। ওইদিন ইছামতি বাজারে দোকানপাঠ ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহতের পরিবার। তবুও বিচারের আওতায় আনা হয়নি হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের।
বক্তারা আরো বলেন, আমরা মানিক হত্যা মামলা করেছি কিন্তু উল্টো আমাদের জড়িয়ে ৭টি মামলা দায়ের করেছে খুনি কামরুল গংরা।
বক্তারা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, হত্যাকারীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরছে আর আমাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় পুলিশ তাদেরকে ধরছেনা।
অনতিবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। অন্যথায় এলাকাবাসীকে নিয়ে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারি দেন তারা।
এদিকে পিতা হত্যার বিচার চেয়ে নিহতের শিশুপুত্র মাহফুজ মিয়া বলেন, আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে আজ দুই মাস। এখনো আসামীরা ধরাছোঁয়ার বাহিরে ব্যাপরোয়া ঘুরতেছে। বাবাকে হারিয়ে ও আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি।
মানববন্ধন শেষে ইছামতী বাজারে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।



