Shopping cart

  • Home
  • বাংলাদেশ
  • অন্যান
  • ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠক স্থগিত করার দাবি জানিয়ে পিসিসিপি’র স্মারকলিপি

ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠক স্থগিত করার দাবি জানিয়ে পিসিসিপি’র স্মারকলিপি

অক্টোবর ১৫, ২০২৫

ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠক স্থগিত করার দাবি জানিয়ে পিসিসিপি'র স্মারকলিপি।

ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠক স্থগিত করার দাবি জানিয়ে পিসিসিপি'র স্মারকলিপি।

আহমদ বিলাল খান: পাহাড়ি বাঙালি সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে পিসিসিপি’র ঘোষিত ৮ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের কোন বৈঠকের অনুমতি না দিতে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি’র রাঙ্গামাটি জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে রাঙ্গামাটি পিসিসিপি’র একটি দল জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন। এতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আগামী ১৯ শে অক্টোবর রবিবার রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদে অবস্থিত অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক স্থগিত করার দাবি জানানো হয়।

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন পিসিসিপি রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি তাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ মোশাররফ হোসেন, যুব পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূর হোসেন, পিসিএনপি’র রাঙ্গামাটি জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মো: হুমায়ুন কবির সহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

পিসিসিপি স্মারকলিপিতে জানান, আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি’র রাঙামাটি জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ হই। আমরা রাঙামাটি জেলায় শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি এবং সন্ত্রাস মুক্ত পাহাড় গড়তে জোর দাবি জানিয়ে আসছি।

স্মারকলিপিতে আরো জানানো হয়,পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা শাখা- পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ৫২% বাঙালি জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার সাথে জানাচ্ছি যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন-২০১৬ নামে যে কমিশন গঠন করা হয়েছে সেখানে পার্বত্য বাঙালীদের কোন প্রতিনিধি নাই। কমিশনের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গৃহিত হবার আইন থাকায় এ কমিশন থেকে একপেশে যেকোন ধরনের সিদ্ধান্ত আসার আশঙ্কা রয়েছে। এ ধরণের একপেশে সিদ্ধান্তের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বৃহৎ বাঙালি জনগোষ্ঠী ভূমিহীন হয়ে যেতে পারে বলে আশংঙ্কা রয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের ৯ জন সদস্যের মধ্যে ৩ জন সার্কেল চীফ(রাজা) ৩ জন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ১ জন আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সহ মোট ৭ জনের সবাই উপজাতি। ১ জন কমিশনের মাননীয় চেয়ারম্যান ও অন্য ১ জন চট্টগ্রাম বিভাগীয় চেয়ারম্যান।

এতেই পরিষ্কার বুঝা যায় যে, ভূমি কমিশনে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ৫২% বাঙালি জনগোষ্ঠীর কোন প্রতিনিধি নাই। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামের বসবাসরত বাঙালিরা এই আইন ও কমিশনের মাধ্যমে তাদের ভূমির অধিকার হারাবে বলে উৎকন্ঠিত। ভূমি কমিশনের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ না রাখায় এটি একপেশে ও সংবিধান পরিপন্থি একটি ধারা।

স্মারকলিপিতে পিসিসিপি আরো বলেন,আমরা গভীর উদ্বেগ এর সাথে লক্ষ্য করছি।

আগামী ১৯/১০/২০২৫ খ্রি. রোজ রবিবার সকাল ১১:০০ ঘটিকায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে অবস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের শাখা কার্যালয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান মহোদয়ের সভাপতিত্বে কমিশনের সকল সদস্যগণের এক সভা আহবান করা হয়েছে। উক্ত সভাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাঙালি জনগোষ্ঠী চরম ভাবে ক্ষুব্ধ।

স্মারকলিপিতে পিসিসিপি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা শাখা দৃঢ়তার সঙ্গে জানাচ্ছে যে, পিসিসিপি ঘোষিত ৮দফা দাবি মানার আগ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের যে কোনো বৈঠক রাজপথে থেকে কঠোর ভাবে প্রতিহত করবে। জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দেহে থাকা পর্যন্ত পার্বত্য অঞ্চলের অধিকার বঞ্চিত নাগরিকদের অধিকারের পক্ষে আমরা কোন ছাড় দিবো না, তাই পিসিসিপি’র ৮দফা দাবি না মানা পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন এর কোনরূপ বৈঠক বিশেষ করে ১৯ শে অক্টোবর রবিবারের বৈঠক রাঙ্গামাটিতে যাতে অনুষ্ঠিত না হয় সেজন্য আপনি যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন সে অনুরোধ জানাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *