জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা পার্কিং এ লাগাতার চলছে মাদক কারবার ও মাদক সেবন।
শুক্রবার ( ১২ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক নয় টায় শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের নিচ তলায় গাঁজা সাজানো অবস্থায় বহিরাগত (পাভেল) সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী দেখা যায়। যাদের মধ্যে রাশাদ ইমন,সাবায়েত অন্যতম।
ভিডিও তে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সাবিত হাতে গাঁজা নিয়ে সাজানোর সময় ভিডিও ধারণ হচ্ছে বুঝতে পেরে সাদা কাগজে মুড়ে নেয় এবং ফিল্ম এ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে পাবেলের সাথে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।
এর আগে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহ সাকিব সোবহান (ম্যাজিক) বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে একই বিভাগের রাশাদকে হুমকি ও গাজা সেবনকালে হাতেনাতে ধরা হলে সাংবাদিকের উপর চড়াও হন। এবং বহিরাগত দ্বারা মারধরের হুমকি করেন।
ঘটনা সূত্রে জানা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী ম্যাজিক তার সহপাঠী রাশাদকে সেখানে থাকা বহিরাগত পাভেল দ্বারা তুলে নিয়ে ৮ ঘন্টা আটক করে রাখে এবং মুঠোফোনে বার্তার মাধ্যমে আজ ডেকে নিয়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে আসে পরে বহিরাগত ও গাঁজা সহ তাদেরকে হাতেনাতে ধরা হয়।
উল্লেখ্য সাংবাদিক মাদকের বিষয়ে জানতে চাইলে সেখানে থাকা বহিরাগত পাভেল সাংবাদিকের কার্ড চায় এবং বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে তড়িঘড়ি করে তার বাইক নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও দৈনিক ইনকিলাব প্রতিনিধি মুসফিকুর রহমানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী আদনান বলেন, তোর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারিকে বলিস ফিল্ম এ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের আদনান ছিলো বাকিটা তারা বুঝবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ১৭ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী বাবু বলেন, আমি স্পষ্ট শুনেছি সাংবাদিক যখন প্রশ্ন করছিলো ফি্লম এ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের ১৯ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী রাতুল বলেন এই সাংবাদিক তো মাইর খাবে।
নাম না জানা সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ তম আবর্তনের এক শিক্ষার্থী বলেন, আজ এখানে হাতেনাতে ধরেছি তবে এর আগে একই জায়গায় একাধিকবার মাদকের আড্ডা বসে এবং আমার মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের উসকানি দেয়, নয়তো আন্ডারগ্রাউন্ডে সোফা কেন থাকবে?