Shopping cart

রিজার্ভ রিজার্ভে রেখেই দুই মাসে দেনা পরিশোধ দেড় বিলিয়ন ডলার।

অক্টোবর ১৯, ২০২৪

ছবি সংগ্রহীত

ছবি সংগ্রহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে কোনো অর্থ ব্যয় না করেই, মাত্র দুই মাসে দেড় বিলিয়ন ডলার দেনা পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে, ব্যংকের তারল্য ফিরে পাচ্ছে, জালানি তেল, গ্যাস, সারসহ দরকারি পণ্য আমদানিতে। গভর্নর জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে সব দায় মেটানোর পর, আরো ইতিবাচক ধারায় প্রাণ ফিরবে অর্থনীতিতে।

বি’নিয়োগ, প্রবৃদ্ধি নিয়ে এই মুহূর্তে চিন্তা না করে, ধৈর্য্য ধরার আহবান করেন তিনি।
জ্বালানি তেল, গ্যাস, কয়লাসহ যাবতীয় পেট্রোলিয়াম পণ্যের প্রায় পুরোটাই আমদানি করতে হয় বিভিন্ন উৎস থেকে। যার পেছনে সবশেষ অর্থবছরে ব্যয় হয় প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার।।
এছাড়াও বিদ্যুৎ ও সারের ক্ষেত্রেও নির্ভরতা বাড়ছে প্রতিনিয়ত, কিন্তু, গেলো দুবছর ধরে ডলার সঙ্কট শুরু হলে, সময়মতো সেই ব্যয় পরিশোধ করা যায়নি।

এমতাবস্তায়, আদানি, কাফকো, শেভরন ও বিপিসিকে সরবরাহকারী বেশকিছু বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে সোয়া দুই বিলিয়ন ডলারের ওপরে বকেয়া পরেযায়। তবে আশার বাণী হলো, গেলো দুই মাসে রিজার্ভে হাত না দিয়েই, সেই বকেয়ার দেড় বিলিয়ন পরিশোধ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাকি অংশও মাস দুয়েকের মধ্যে মিটিয়ে দেয়া সম্ভব আশা গভর্নরের।।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ২.৫ বিলিয়নের মতো অনাদায়ী, অনিষ্পন্ন দায় ছিল সরকারের। সেটা ছিল ডলারের। সেটা আমরা কমিয়ে ৭০০ মিলিয়নে নিয়ে এসেছি। সারের জন্য প্রচুর টাকা দেয়া হয়েছে, বিদ্যুতের জন্য দেয়া হয়েছে, আদানি-শেভরনকে দেয়া হয়েছে। সবার দেনাটা কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য আগামী দুই মাসের মধ্যে ঋণের দেনা জিরোতে নামিয়ে আনব। তখন বাজারে লিকুইডিটা আরও বাড়বে বলে আশাবাদী।

এ সব বকেয়া পরিশোধের পর, চাপ কমবে আর্থিক ব্যবস্থাপনায়,যা গতি বাড়াবে সার্বিক কর্মকাণ্ডে। একই সঙ্গে, প্রস্তুতি চলছে বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে আরো প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ঋণ সংগ্রহের। বর্তমানে ১০৩ বিলিয়নের বিদেশি ঋণ ও পরিশোধের ধারাবাহিক বাড়তি চাপে কিছুটা চিন্তিত গভর্নরআহসান এইচ মনসুর। তিনি এও বলেন এই অবস্থা সামাল দিতে ধৈর্য্য ধরতে হবে অন্তত এক বছর।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *