Shopping cart

  • Home
  • ফিচার
  • তীব্র শীত শীতল বাতাসে জবুথবু কুড়িগ্রামের জনপদ

তীব্র শীত শীতল বাতাসে জবুথবু কুড়িগ্রামের জনপদ

ডিসেম্বর ২৫, ২০২৫

তীব্র শীত শীতল বাতাসে জবুথবু কুড়িগ্রামের জনপদ।

তীব্র শীত শীতল বাতাসে জবুথবু কুড়িগ্রামের জনপদ।

রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর: তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় জবুথবু হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনপদ। কুয়াশার কারণে জেলার সড়কগুলোতে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

এদিকে গত কয়েকদিনের হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় চরম বিপাকে পড়েছেন শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে তাদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত নানা রোগ। বিশেষ করে দুস্থ ও নিম্নআয়ের মানুষ প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে এসব রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন তারা।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় কুড়িগ্রাম জেলায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ১০০।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার প্রায় সাড়ে ৪০০ চরাঞ্চলে শীতের প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টির মতো ঝরে পড়া কুয়াশায় কাজের সন্ধানে ছুটে চলা মানুষজন পড়ছেন ভোগান্তির মুখে। তীব্র ঠান্ডায় সবজি খেত ও বীজতলা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তা দিনদিন বেড়েই চলেছে।

কুড়িগ্রাম জেলার সদর উপজেলার পৌর শহরের ভেলাকোপা এলাকার হোটেল শ্রমিক মোঃ আনিছুর রহমান (৪০) বলেন, আমি হোটেলে কাজ করতে যাচ্ছি। সারারাত থাকে কনকনে ঠান্ডা, দিনের বেলায়ও একই অবস্থা। এমন অবস্থায় আমার মতো খেটে খাওয়া মানুষের কষ্টের শেষ নাই। কাজ না করে ঘরে বসে থাকলে পেটে ভাত জুটবে না। সংসার তো চালা লাগবে। তাই বের হয়েছি।

কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের কৃষক শ্রমিক মোঃ আব্দুল জলিল (৫০) বলেন, কয়েক দিন থেকে যে ঠান্ডা পরছে কাজে যেতে পারছি না। হাত পা বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। সংসার তো চালা লাগবে তাই কাজে বের হলাম।

কুড়িগ্রাম জেলার সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের সদর হাসপাতালে আসা মোঃ রবিউল ইসলাম (৫৫) বলেন, আমার সন্তানের কয়েক দিন থাকি জ্বর সর্দি লেগেছে গ্রামের ডাক্তারকে দেখে ওষুধ খাওয়াচ্ছি কিন্তু ভালো হয় না তাই হাসপাতালে এসেছি।

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ আল-আমিন মাসুদ জানান, শীতে শিশুদের সুরক্ষায় বাড়তি যত্ন নেওয়া উচিত। শিশুদের বাইরে নিয়ে গেলে ধুলাবালি ও ঠান্ডা এড়িয়ে চলতে হবে। কুয়াশায় কোনোভাবে শিশুদের বের করা উচিত হবে না।

কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র বলেন, কুড়িগ্রাম জেলায় আজ সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০। চলতি সপ্তাহে জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *