মুসফিকুর রহমান, জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) চলমান আন্দোলনের তৃতীয় দিনে অনশনের ঘোষণা প্রদানের পূর্বে এ কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিন।
শুক্রবার (১৬ মে) সকালে ১০ টায় চলমান আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা এবং সাআেক শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানোর সময় এ কথা বলেন।
তিনি জানান আমাদের এই যোথ যৌক্তিক আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ট্রেজারার, প্রক্টর, শিক্ষক সমিতির সকল শিক্ষক মাঠে থেকে শিক্ষার্থীদের সাথে আন্দোলন করে যাচ্ছে।
তার বক্তব্যের এক পর্যায়ে বলেন জগন্নাথের দাবি যৌক্তিক এবং তারা ২০ বছর এর ভুক্তভোগী, সুতরাং দেশবাসি সকলের উচিত এই দাবিতে একাত্মতা প্রকাশ করা।
সমাজকর্ম বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও প্রভাষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ” আমরা ছাত্রজীবন থেকে এই আন্দোলন করে আসছি, অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে আজ শিক্ষক হয়ে ও সেই আন্দোলন করা লাগে”।
এর আগে উপদেষ্টা মাহফুজ এর সাথে ঘটা বোতল কান্ড নিয়ে কথা বলতে গিয়ে উপস্থিত ছাত্রনেতারা বলেন, ” আমাদের করা ভুলের জন্য আমাদের শিক্ষক ক্ষমা প্রার্থনা করেছে কিন্তু আমাদের শিক্ষকদের সাথে করা অন্যায়ের জন্য আমাদের কাছে ইন্টেরিয়াম কে ক্ষমা চাইতে হবে নয়তো আন্দোলন চলমান থাকবে।
উল্লেখ গত ১৪ মে শুরু হওয়া আন্দোলন যখন যমুনা সংলগ্ন কাকরাইল মসজিদ মোড়ে আসে তখন পুলিশ আন্দোলনরত শিক্ষার্থী, শিক্ষকদের উপর টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট এবং কয়েক রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ফলে শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবির সাথে নতুন এক দফা যুক্ত হয় * হামলাকারীদের চিহ্নিত করা এবং বিচারের আওতায় নিয়ে আসা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন সরদার বলেন, ” আমি বাকরুদ্ধ হয়ে যাই, কাদের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রথম সারিতে থেকে রাইফেদলের সামনে বুক পেতে দেয়, এখন এসে যদি ৩ দিন রাস্তায় থেকে ন্যায্য দাবি আদায় করতে হয়, তাহলে আমি বোলবো দেশ এখনো পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা পাইনি বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিন বলেন: বিকাল ৩:০০ থেকে গণ অনশন শুরু হয়ে দাবি আদায় না হওয়া প্রর্যন্ত চলবে, আমি যদি গোয়েন্দা সংস্থা দ্বারা অ্যারেস্ট হয়ে যাই, তবুই এই সংগ্রাম চলমান থাকবে, হয় আমাদের অধিকার দিন, নয় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিন।