সংবাদ প্রতিবেদন: শেখ ইমতিয়াজ মাহমুদ, প্রভাষক কৃষি শিক্ষা, বড়খাল বহুমুখী স্কুল ও কলেজ, দোয়ারাবাজার, সুনামগঞ্জ।
দীর্ঘদিনের দাবি নিয়ে আবারও রাজপথে নামছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীগণ। আগামীকাল ১২ অক্টোবর (রবিবার) থেকে ঢাকা প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণ পরিণত হবে শিক্ষক-কর্মচারীদের জনসমুদ্রে, যেখানে তারা সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা এবং শতভাগ উৎসব ভাতা বাস্তবায়নের পাশাপাশি চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করবেন।
বিগত দুই দশক ধরে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের এই দাবিগুলো কোনো সরকারই বাস্তবায়ন করেনি। আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি—কোনো সরকারই তাদের দাবি আমলে নেয়নি। মাঝে মাঝে সরকারের কিছু মন্ত্রী বা উপদেষ্টা সদিচ্ছা প্রকাশ করলেও, বিউরোক্রেটিক জটিলতা ও প্রশাসনিক টালবাহানার কারণে সেই উদ্যোগগুলো বারবার ভেস্তে যায়।
শিক্ষক নেতাদের অভিযোগ, “কখনো সরকারের সদিচ্ছা থাকলেও, এসি রুমে বসে থাকা কিছু আমলা নানা অজুহাতে সেই সদিচ্ছাকে ব্যর্থ করে দেয়।”
ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর, সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ধাপে ধাপে এমপিওভুক্তদের বৈষম্য দূর করার আশ্বাস দিয়েছিলেন এবং একটি রূপরেখাও প্রণয়ন করেন। বর্তমান শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারও একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে মাঠ পর্যায়ে এখনো কোনো বাস্তব পরিবর্তন দেখা যায়নি।
এর আগে গত ১৩ আগস্ট ২০২৫, ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাবে শিক্ষক-কর্মচারীদের বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন জোট সরকারের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেন অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী, এবং নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেন। ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল—১৪ সেপ্টেম্বর অর্ধদিবস কর্মবিরতি, ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি, এবং ১২ অক্টোবর থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি।
মাঝখানে গত ৩০ সেপ্টেম্বর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবিধি শাখা থেকে শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা মাত্র ৫০০ টাকা বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি পরিপত্র অনুমোদন করা হয়। কিন্তু শিক্ষক সমাজ সেটিকে “অবমাননাকর ও উপহাসমূলক” আখ্যা দিয়ে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন।