সোহেল মিয়া, দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ):
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আল মদিনা একাডেমির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে একাডেমি ক্যাম্পাস মাঠে এই ক্রীড়ানুষ্ঠানের এই পুরুষ্কার বিতরণীর আয়োজন করা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার সিলেট বিভাগের পরিচালক ফারুক আহমদ।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লেতে উপভোগ করেন প্রধান অতিথি ও একাডেমির শিক্ষক, আমন্ত্রিত অভিভাবক, স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ বিপুলসংখ্যক দর্শক।
এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ১৫টিরও বেশি খেলাধুলা ও অনান্য বিষয়ে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। ‘যেমন খুশি তেমন সাজো, বালিশ খেলা’মোরগের লড়াই,প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ,দীর্ঘ লাফ,উচ্চ লাফসহ বিভিন্ন ইভেন্টে অনুষ্ঠানটি হয়েছিল বিশেষ উপভোগ্য।
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি ।
এ সময় প্রধান অতিথি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে উদযাপিত হয়েছে।
একাডেমির ক্যাম্পাস সাজানো হয়েছিল সুন্দরভাবে। খেলাধুলার পাশাপাশি বিভিন্ন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান দর্শকদের আনন্দে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে।
আল মদিনা একাডেমির শিক্ষার্থীদের যৌথ সঙ্গীত পরিবেশন ছিলো বিশেষ উপভোগ্য।
অনুষ্ঠানে মোটিভেশনাল স্পীকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী ডা: সাদিয়া জাহান মনি, বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট জেলা বারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, হাজ্বী কনু মিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিজ আলী, কিশোরকন্ঠ পাঠক ফোরাম দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিচালক আজিজুর রহমান।
আল মদিনা একাডেমির পরিচালক রফিকুর রহমান ও শিক্ষক জুয়েল আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব আতাউর রহমান, খলিলুর রহমান,নসকস’র সভাপতি শফিকুল ইসলাম, নসকস’র সেক্রেটারি হোসাইন আহমদ,আল মদিনা একাডেমির শিক্ষক নিলুফা আক্তার,রুমেনা বেগম,সালমান ফার্সি, জাবেদুল হাসান, ইয়াকুব আল হাসান, মোজাম্মেল হক,ইমরান আহমদ, হানিফা জান্নাত বুশরা,সাদিয়া
আক্তার,মার্জিয়া আক্তার,মুরছানা আক্তার,শিক্ষার্থী ও অভিভাবক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।