আব্দুর রশিদ সাতক্ষীরাঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার জেলেখালিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ৩০ বিঘা সরকারি জলমহাল দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে সর জমিনে জানা যায় উপজেলা ছাত্রদল নেতা আব্দুল কাইয়ুম আবুর বিরুদ্ধে। গত সোমবার ২১এপ্রিল এই ঘটনা ঘটে এ সময় আবু বাহিনীর হামলায় আহত হয়েছেন চারজন।
দীর্ঘদিন ধরে জেলেখালী জলমহালটি স্থানীয় তাহমীনা এতিমখানা, লিল্লাহ বোডিং ও মাদ্রাসা কতৃপক্ষ ভোগদখল করছে। এতিম শিশুদের ভরনপোষণের জন্য এই জলমহাল থেকে অর্জিত অর্থ ব্যয় করা হয়।
সোমবার বিকালে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম আবু সহ শতাধিক লোকজন উক্ত জলমহাল দখল করে নেয়। এসময় তারা ১২ থেকে ১৪ মন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করে।
তাদের বাধা দেওয়ায় সুশান্ত সরদার, আবুল হোসেন ও আব্দুল আজিজ সহ চারজন আহত হয়। মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি মোঃ ইছহাক আলী জানান, জেলেখালী জলমহাল ইজারা নিয়ে সরকারের সাথে তার পরিবারের মামলা চলছে।
তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে মাননীয় উচ্চ আদালত উক্ত খালের উপর স্থিতিবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন।
তবে জেলখালী খাল জবরদখলের বিষয়টি অস্বীকার করে ছাত্রদল নেতা আল কাইয়ুম আবু জানিয়েছেন, পূর্বে আওয়ামীলীগের লোকজন এই খালটি ভোগদখল করতো। যেহেতু এটি সরকারি খাল তাই সকলেরই এটা ভোগ করার অধিকার রয়েছে।
এজন্য স্থানীয়রা সম্প্রতি সেখান থেকে কিছু মাছ ধরে নিয়ে গেছে। ওইদিন আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না, পরে জেনেছি। সুতরাং এতে আমার কোন দায় নেই।
জেলেখালির খালে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পূর্বে যাদের ইজারা নেওয়া ছিলো তারাই ভোগদখল করবে এবং আদালত পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এটি বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রনি খাতুন।