মুসফিকুর রহমান, জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো রেজাউল করিম বলেন “সংগীত কেবল বিনোদন নয়, এটি জাতির প্রেরণার উৎস”।
দিনব্যাপী এ আবেগঘন উৎসব জবি সংগীত বিভাগের প্রত্যাশা মজুমদারের স্মৃতিতে উৎসর্গিত ছিল ।
বুধবার (৭ মে) দীর্ঘ ৬ বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ভবনে সংগীত বিভাগের ৪র্থ সংগীত উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই-পরবর্তী সময়ে দেশে যে মুক্ত ও সৃজনশীল পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা আজ এই উৎসব আয়োজন করতে পেরেছি। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রতিক জুলাই বিপ্লবে সংগীতই আমাদের ঐক্যবদ্ধ করেছে।”
এ ছাড়াও তিনি সংগীত বিভাগের অকালপ্রয়াত শিক্ষার্থী প্রত্যাশা মজুমদারকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে বলেন, “এমন সম্ভাবনাময় প্রাণের অকালপ্রয়াণ আমাদের ব্যথিত করে। এই ঘটনা আমাদের শিক্ষা দেয় আমাদের মানবিক হতে হবে, কিন্তু আবেগে ভেসে ভুল পথে যেন না যাই।”
উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, “তোমরা কখনও স্বার্থপর হয়ো না। অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু পরিবারের জন্য চিরস্থায়ী বেদনার কারণ হয়। আমাদের দায়িত্ব এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করা।”
দিনব্যাপী এ উৎসবে সংগীত জগতের গুণী ব্যক্তিত্ব শাহীন সামাদকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল, লাইসা আহমদ লিসা, প্রিয়াংকা গোপ, সাগর দেওয়ান এবং জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।
উৎসবের সভাপতিত্ব করেন সংগীত বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ড. ঝুমুর আহমেদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সহকারী অধ্যাপক মোঃ মাহমুদুল হাসান।
প্রথম অধিবেশনে অনুষ্ঠিত হয় “সার্বিক স্বরূপ সমীক্ষণ: সংগীত ও সংবিৎ” শীর্ষক সেমিনার। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহকারী অধ্যাপক ড. আলী এফ এম রেজোয়ান, এবং আলোচনায় অংশ নেন সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহাম্মদ আলী নকী।