দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ): বছরের বেশিরভাগ সময়ই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে থাকে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর বাজারে।
বাজারের মেইন গলির ভিতরের সড়কগুটি দু’পাশে দোকানপাটের ভবনের চেয়ে নিচু সড়ক হওয়ায় আর পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সৃষ্ট এই জলাবদ্ধতার ফলে দুর্ভোগে পড়েন ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও স্থানীয় পথচারীরা।
চলাচলকারী যানবাহন ও যাত্রীদেরও চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
জানা যায়,বাজারের ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ও বাজারে প্রবেশ পথ মারুফের রডের দোকান হতে জালাল ডাক্তারের ফার্মেসি পর্যন্ত। বাজার হতে বাহিরের অঞ্চলে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা ও এটি। দিনরাত সমানতালে নরসিংপুর ইউনিয়নের মানুষজন ও পণ্যসমাগ্রী পরিবহন করা হয় এই সড়ক দিয়ে। কিন্তু ঐতিহ্যবাহী এই
বাজারের ভেতরের এই সড়কটির ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টি হলেই কোমড় সমান পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় ও কাদায় রাস্তা চলাচল অনুপযোগী হয়ে যায়।
রবিবার (১৮ মে) সরেজমিন ওই বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারের দু’পাশের ব্যবসায়ীরা পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। ব্যসায়ীদের অভিযোগ,দু’পাশে বড় বড় প্রতিষ্ঠান, ভবন নির্মান হওয়ায় ও বাজারে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এই গলির পানি যাওয়ার রাস্তা নেই। আর এই গলিটা বাজারের সবচেয়ে নিচু জায়গায় হওয়ায় প্রতিটা গলির পানি ও ময়লা আবর্জনা এখানে এসে জমাট বাঁধে।
ফলে মানুষকে ময়লা পানি মাড়িয়ে বাজারে আসতে হচ্ছে। ভোগান্তিতে পড়েছে ব্যবসায়ী,ক্রেতা,পথচারী ও শিক্ষার্থীরা।
বাজারের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী (রড-সিমেন্ট) আব্দুল মোতালিব এন্ড সন্স এর স্বত্বাধিকারী মারুফ আহমদ জানান, একটু বৃষ্টি হলেই বাজারের মেইন গলির এই গুরুত্বপূর্ণ অংশে পানি জমে যায়। ৮ মাস থাকে জলাবদ্ধতা। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছেনা। এতে দূর্গন্ধ ও ছাড়াচ্ছে।
এমন জলাবদ্ধতা থাকায় ৮ মাস ক্রেতা সংকটে দেখা দেয়।
চিকিৎসক জালাল উদ্দীন জানান,উপজেলার হাতেগোনা কয়েকটা বাজারের মধ্যে নরসিংপুর বাজার অন্যতম। কিন্তু অবহেলায় দিনের পর দিন উন্নয়নবঞ্চিত রয়েছেন নরসিংপুর বাজার। বাজারের কোথায় পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। এতে হালকা বৃষ্টি হলেই পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে করুন অবস্থা দেখাদেয় বাজারের এই গলিতে। এখন সাতারকাটার মতো পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এমন অবস্থা থাকে বছরের ৮ মাস। আমরা ব্যবসায়ীরা ভোগান্তি ও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।’
ক্রেতা সাইদুর রহমান বলেন, ‘ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি মাড়িয়ে বাজারে যেতে হয়। ঐতিহ্যবাহী এই বাজারের এমন দৃশ্য বেমানান। জনপ্রতিনিধিরা এই দুর্ভোগ দেখেও দেখেন না।’
ব্যবসায়ী ওয়ারিছ আলী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই বৃষ্টিতেই বাজারে পানি জমে যায়। মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে অতি দ্রুত পানি অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।’
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন, নরসিংপুর বাজারের এই গলিটা পর্যবেক্ষণ করে টেন্ডার প্রস্তুত করা হচ্ছে। শীগ্রই এর দূর্ভোগ লাগবে কাজ শুরু হবে।