Shopping cart

  • Home
  • শিক্ষাঙ্গন
  • কুবিতে মাইগ্রেশন ফি বাতিলের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

কুবিতে মাইগ্রেশন ফি বাতিলের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

মে ১৮, ২০২৫

কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) মাইগ্রেশন ফি বাতিলের দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১৮ মে) উপাচার্যের নিকট এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চলতি ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার পর ভর্তি ফি বৃদ্ধি এবং মাইগ্রেশন ফি আদায় করছে। কয়েকটি বিভাগে ভর্তি ফি প্রায় ২২,০০০ টাকা পর্যন্ত পরিশোধ করতে হচ্ছে। এছাড়াও মাইগ্রেশনের ক্ষেত্রে ৩,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ফি দিতে হচ্ছে। এতে একজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর জন্য ভর্তি ফির পরবর্তী মাইগ্রেশন ফি একটি অতিরিক্ত আর্থিক বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, ভর্তি শেষে মাইগ্রেশন ফি সম্পূর্ণভাবে বাতিল করতে হবে।

‘ইনকিলাব মঞ্চ’-এর আহ্বায়ক হান্নান রাহিম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর মাইগ্রেশনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। অনেক শিক্ষার্থী এসব বিড়ম্বনার কারণে মাইগ্রেশনই করতে চায় না। এ অবস্থায় বিভাগ কিংবা ক্লাবভিত্তিক অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ এক ধরনের জুলুম। আমরা এই জুলুমের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দিয়েছি। বিভাগেরা মাইগ্রেশনে আর কোনো আলাদা টাকা নিতে পারবে না। ভিসি স্যার একদিন সময় নিয়েছেন, কালকের মধ্যেই এর সমাধান চাই।”

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মোজ্জাম্মেল হোসাইন আবির বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের ২০–২২ হাজার টাকা দিতে হয়, যা অনেক পরিবারের পক্ষে সংগ্রহ করা কঠিন। ভর্তির পর মাইগ্রেশনের ফলে আগের বিভাগের ফি ফেরত না দিয়ে নতুন বিভাগে আবার ৭–৮ হাজার টাকা নেওয়া হয়—এটি এক ধরনের বৈষম্য। হলে সিট না পাওয়ায় মেসের খরচও যুক্ত হয়, ফলে পরিবারগুলো মারাত্মক আর্থিক চাপে পড়ে। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছি, এই অর্থনৈতিক বোঝা লাঘবে পদক্ষেপ নিতে। যদি যৌক্তিক দাবি মানা না হয়, তবে কুবিয়ানরা জানে কীভাবে অধিকার আদায় করতে হয়।”

ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈম ভূঁইয়া বলেন, “গত কয়েক বছর গুচ্ছভুক্ত থাকার কারণে আমরা অনেক কিছু করতে পারিনি। গুচ্ছ থেকে বের হওয়ার পর এবার আমরা যৌক্তিক দাবি তুলে ধরছি। মাইগ্রেশনের ফলে শিক্ষার্থীদের বারবার ফি দিতে হয়, যা আর্থিকভাবে চাপ সৃষ্টি করে। আমরা দাবি করেছি, শুধুমাত্র চূড়ান্ত বিভাগে ফি প্রদান করতে হবে। ভিসি স্যার আশ্বাস দিয়েছেন ব্যবস্থা নেবেন। আমরা আগামীকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করব; সঠিক জবাব না পেলে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *