Shopping cart

৫ বছরেও বৃদ্ধি পায়নি কুবির বাস

মে ২২, ২০২৫

বুশরা আক্তার, কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শিক্ষার্থীদের পরিবহন সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে । বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়লেও গত ৫ বছরে বাড়েনি কুবির নিজস্ব বাসের সংখ্যা। এছাড়া ফিটনেস বিহীন বাসসহ নানা কারণে শিক্ষার্থীদের মাঝে বাড়ছে ভোগান্তি এবং ক্ষোভ। বাস বাড়ানোসহ এসব ভোগান্তি দূর করার দাবিতে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপি দিলেও সমাধান হয়নি পরিবহন সংকট। সর্বশেষ ২০২০ সালে কুবিতে নতুন বাস যুক্ত হয়।

জানা যায়, ২০১৮ সালে পাশকৃত ১৬ ‘শ ৫৫ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প থেকে মোট ৫ টি বাস বরাদ্দ করা হলে ২০২০ সালে শিক্ষার্থীদের জন্য কুবির নিজস্ব বাসের সংখ্যা হয় ৭ টি। এছাড়াও বিআরটিসি থেকে আরও ৮ টি বাস ভাড়ায় শিক্ষার্থীদের পরিবহন সেবা দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ৭টি ও বিআরটিসির ৮টি বাসের মোট আসন রয়েছে প্রায় ৭৫০টি। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৪৬১ জন। যা বাসের সংখ্যা ও আসনের তুলনায় অপ্রতুল।

অন্যদিকে বিআরটিসির কিছু বাস যাতায়াত অনুপযোগী। প্রায় প্রতিদিন একটি বা দুটি বাস রাস্তায় বিকল হয়ে পড়ে থাকার অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া এই বাসগুলোর পাখা না থাকা ও বৃষ্টির সময় পানি পড়ারও অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা বাসে সিট না পাওয়ায় দাঁড়িয়ে যাতায়াত করে। তীব্র গরমে বাসে দাঁড়িয়ে যাওয়া তাঁদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়ে। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে বাসের দরজায় বা জানালার পাশে ঝুলে যাতায়াত করেন। এতে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নগরীর টমসম ব্রীজ ও পুলিশ লাইন হয়ে যাতায়াত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো। এর মধ্যে শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী সকাল ১০টা ও রাত ৮টা এবং ৮.৩০টার বাসে ভিড় লক্ষ্য করা যায়। অন্যদিক ক্যাম্পাস থেকে শহরগামী দুপুর ২টা, বিকাল ৫টা ও সন্ধ্যা ৭টার বাসে ভিড় ও গাদাগাদি অবস্থা দেখা যায়।

এ বিষয়ে লোকপ্রশাসন ১৭ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী নাঈম ইসলাম আরাফ বলেন, “বাসের সংকটের কারণে আমাদের ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়। সারাদিন ক্লাস করার পর ক্লান্ত শরীর নিয়ে বাসায় ফিরি, তখন বাসে সিট তো পাওয়ায় দাঁড়িয়ে যাতায়াত করাটা আমাদের জন্য কষ্টকর হয়ে ওঠে। এই পরিস্থিতিতে আমরা শারীরিক ও মানষিকভাবে ভোগান্তির মধ্যে পড়ি”।

পরিবহন পুলের সহকারী রেজিস্ট্রার মো: মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, “আমাদের পরবর্তী বাজেটে বাস বৃদ্ধির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করবো। ইউজিসির অনুমোদনক্রমে বাস যতোটা সম্ভব বাড়ানো হবে। পাশাপাশি আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে বিআরটিসি বাসের পরিবর্তে ধাপে ধাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাস বৃদ্ধি করা”।

ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, “সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ছাত্রদের কল্যাণে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার আমরা সে ব্যবস্থা নিব। আমরা চেষ্টা করবো ছাত্ররা যাতে সর্বোচ্চ পরিবহন সুবিধা পাই”।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “সরকার এখন বিআরটিসি বাস উৎসাহিত করছে। যেহেতু সরকারের অপশন আছে বিআরটিসি বাস নেওয়ার তাহলে শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা খুব সহজে বিআরটিসি বাস নিতে পারবো। আর নতুন করে ফান্ড পেলে আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস বাড়াতে পারবো”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *