Shopping cart

রাজনীতি নিষিদ্ধ ক্যাম্পাসে কুবি শিবিরের ‘মধ্যাহ্নভোজের’ আয়োজন 

জুন ৭, ২০২৫

রাজনীতি নিষিদ্ধ ক্যাম্পাসে কুবি শিবিরের 'মধ্যাহ্নভোজের' আয়োজন 

রাজনীতি নিষিদ্ধ ক্যাম্পাসে কুবি শিবিরের 'মধ্যাহ্নভোজের' আয়োজন 

কুবি প্রতিনিধি: ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও ঈদুল আযহা উপলক্ষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শিক্ষার্থীদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে ৩ টি গরু ও ১০৬ টি খাসি কোরবানি করে ‘মধ্যাহ্নভোজ’ ও মাংস বিতরণ করেছে কুবি শাখা ছাত্রশিবির।

শনিবার (৭ জুন) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী ছাত্রশিবির এর সভাপতি ইউসুফ ইসলাহীর বরাতে এটি জানা যায়।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটু দূরে আনসার ক্যাম্পের পেছনে একটি খোলা ময়দানে ৩ টি গরু ও ১০৬ টি খাসি কোরবানি দেয়া হয়। ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থী, নিরাপত্তা প্রহরী, আনসার সদস্য ও কেন্দ্রীয় মসজিদে যোহরের নামাজ উপস্থিত সকল মুসল্লীদের জন্য ‘ মধ্যাহ্নভোজের’ আয়োজন করেন তারা। এছাড়াও একটি খাসিকে চারভাগ করে ক্যাম্পাসের আশেপাশে দরিদ্র পরিবারগুলোর মাঝে বিতরণ করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত প্রথম সিন্ডিকেট সভায় ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। তবে ২০২৪ সালের ৮ আগস্টের ১০০তম সিন্ডিকেট সভায় পূর্বের সিদ্ধান্তের পুনঃনিশ্চিতকরণ করা হয় এবং ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত পুনরায় কার্যকর করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইউসুফ ইসলাহী বলেন, ‘আমাদের এই আয়োজন কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। ঈদ উপলক্ষে যারা বাড়ি যেতে পারেননি- বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানরত শিক্ষার্থী, নিরাপত্তা প্রহরী ও আনসার সদস্যদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতেই আমাদের এই ‘মধ্যাহ্নভোজের’ আয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে প্রতিবছরই কোরবানির আয়োজন করে থাকি। আগের বছরগুলোতে এই আয়োজনগুলো সংবাদমাধ্যমে প্রচার পায়নি, তাই মানুষের কাছে তেমন জানা ছিল না। অতীতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের দরিদ্র মানুষদের এবং এমন কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে কোরবানির মাংস উপহার হিসেবে পৌঁছে দিয়েছি, যারা নিজেরা কোরবানি দিতে পারেননি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এবারও আমরা একই উদ্দেশ্যেই আয়োজন করেছি। ক্যাম্পাসে থাকা শিক্ষার্থীদের নিজেদের পরিবারের একজন ভেবে, তাদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে চেয়েছি। মিছিল, মিটিং কিংবা সেমিনার নয়- এটি শুধুই একটি ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভব থেকে উৎসারিত মানবিক আয়োজন। তাই এটিকে রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে দেখার সুযোগ নেই বলে আমি মনে করি।’

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিমের কাছে কল দিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, ‘ছাত্রশিবিরের সভাপতিকে জিজ্ঞেস করুন তারা কেন ক্যাম্পাসে এই আয়োজন করেছে’ এরপর তিনি কল কেটে দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *