কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শাহবাগ ও পতিত স্বৈরাচারের দ্রুত বিচার নিশ্চিত, দ্রুত রোহিঙ্গা সংকট নিরসনের দাবী এবং সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিপ্লবী ঐক্যজোট।
বুধবার (১২ মার্চ) দুপুর ১:০০ টায় শহীদ আব্দুল কাইয়ুম চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করেন ।
এসময় “একটা একটা শাহবাগী ধর, ধরে ধরে জেলে ভর!”,”কুবির শাহবাগী, হুশিয়ার সাবধান!”,”ল-তে লাকী, তুই হাসিনা, তুই হাসিনা!”, “শ-তে শাহবাগী, তুই হাসিনা, তুই হাসিনা!”, “সারা বাংলা খবর দে, শাহবাগীদের কবর দে!”, “লাল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, আগুন জ্বালাও একসাথে!”,”শাহবাগীদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না!” বিভিন্ন স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা
মানববন্ধন শেষে অর্থনীতি ১৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান বলেন, এ শাহবাগী চেতনা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সকল ধরনের অপকর্মের বৈধতা দিয়েছে। হেফাজতে ইসলামের উপর গণহত্যার বৈধতা তারা দিয়েছে। হাসিনার সকল ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া সহ সকল অপরাধের বৈধতা দানকারী মব হলো শাহবাগ। সুতরাং তারা আবারও একই পদ্ধতিতে দেশকে অস্থিতিশীল করবে এটা হতে দিবে না ছাত্র জনতা। এসব বিষয়ে সরকারকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, সে সাথে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিচার নিশ্চিতে সরকারকে আরো সচেষ্ট হতে হবে। বর্ডার কিলিং কে মোকাবিলা এবং রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আরো বেশি শক্তিশালী করতে হবে। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সময়ের মতো স্বামী-স্ত্রী পররাষ্ট্র নীতি ত্যাগ করে এসব ব্যাপারে শক্তিশালী ব্যবস্থা নিতে হবে।
গণিত বিভাগের ১২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হান্নান রহিম বলেন, আমরা গতকাল ঘোষণা দিয়েছি আমাদের প্রধান দাবি রোহিঙ্গা সংকট নিরসন করা, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, স্বৈরাচার হাসিনার বিচার নিশ্চিত করা। যেহেতু আমাদের দেশে জাতিসংঘের মহাসচিব সফর করবেন সেই প্রেক্ষিতে উনার কাছে আমার প্রধান দাবি বাংলাদেশে যে রোহিঙ্গা সংকট তা নিরসনে আপনি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করুন, আর সীমান্ত হত্যায় ভারতকে যত ধরনের চাপ প্রয়োগ করা দরকার জাতিসংঘ থেকে সে ধরনের চাপ প্রয়োগ করার অনুরোধ জানাচ্ছি, আর স্বৈরাচার হাসিনা আমাদের দেশে মানুষ হত্যা করে কীভাবে ভারতে আশ্রয় নিচ্ছে তার জন্য ভারত কে জবাব দিতে হবে। আপনারা ভারত কে চাপ প্রয়োগ করে হাসিনা কে এই দেশে বিচারের আওতায় আনার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
এসময় ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রহিম বলেন,আওয়ামী স্বৈরাচারকে, স্বৈরাচার হয়ে ওঠতে যারা সাহায্য করেছে তাদের মধ্যে অন্যতম স্টেকহোল্ডার হলো এই শাহবাগীরা, কার মদদে শাহবাগীরা আবারও দেশের শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করতে উঠে পড়ে লেগেছে? সরকার কে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে, ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে রাজপথে নির্বাচিত জনগনের সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করলে বাংলাদেশের জনগন কঠোরভাবে প্রতিরোধ করবে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহবাগীদের প্রতি করা হুঁশিয়ারি,লাল সন্ত্রাসকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা রুখে দিবে, এবং যেসব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ২০১৩ সালে শাহবাগের গোলামী করেছে, ফেসবুকে পোস্ট করার মাধ্যমে ও অন্য যেকোনোভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করার চেষ্টা করলে পরিণতি ভালো হবে না, আমলনামা ধরে টান দিলে স্বৈরাচারের দোসররা বেরিয়ে আসবে, শিক্ষার্থীরা তাদের জেলে দিতে এক মিনিটও চিন্তা করবে না।