Shopping cart

জবি ছাত্রদল নেতার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫

জবি ছাত্রদল নেতার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার।

জবি ছাত্রদল নেতার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার।

মুসফিকুর রহমান, জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রশাসন ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। গত ১০ জুলাই ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ ও শহীদ সাজিদ ভবনের নিচ তলায় ঘটে যাওয়া এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর ছাত্রদল জবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মাহমুদুল হাসানের ওপর আরোপিত ক্যাম্পাসে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের আবেদন, অভিযোগকারী শিক্ষকদের ইতিবাচক সুপারিশ এবং তদন্ত কমিটির প্রস্তাবের ভিত্তিতে ২৮ আগস্ট ২০২৫ তারিখে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মনে করছে, এটি ক্যাম্পাসে সৌহার্দ্য ও সমঝোতা পুনঃস্থাপনের প্রতীক।

উল্লেখ্য, গত ১০ জুলাই ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রফিক বিন সাদেক রেসাদকে ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. এ কে এম রিফাত হাসান এবং সহকারী প্রক্টর মো. শফিকুল ইসলাম পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে অপ্রীতিকর অবস্থার মুখোমুখি হন। এছাড়া বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) তিন নেতা—ফারুক, ফয়সাল মুরাদ ও ফেরদৌস শেখ—ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাহমুদুলসহ পাঁচজনের ওপর শাস্তি আরোপ করে।

ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. এ কে এম রিফাত হাসান বলেন, “মাহমুদুল একজন প্রতিশ্রুতিশীল শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতা। ঘটনাটি একটি ভুল বোঝাবুঝির ফল। তিনি শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং ক্যাম্পাসে শান্তি বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের আবেদন ও তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা শাস্তি প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছি। আমি বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে মাহমুদুল ক্যাম্পাসে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবেন।”

প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন,“তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এবং শিক্ষকদের সুপারিশ অনুযায়ী শাস্তি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এটি ক্যাম্পাসে শান্তি ও সৌহার্দ্য ফিরিয়ে আনার একটি উদ্যোগ।

এ বিষয়ে মাহমুদুল হাসান বলেন, “ঘটনাটি কেবল একটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে ঘটেছিল। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের অপতৎপরতা রোধ করা, তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। আমি শিক্ষকদের প্রতি কোনো অশ্রদ্ধা করিনি। শিক্ষকদের সুপারিশ ও প্রশাসনের সিদ্ধান্তের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতে ক্যাম্পাসের শান্তি ও শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে আমি ইতিবাচক ভূমিকা রাখব।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *