Shopping cart

  • Home
  • ফিচার
  • কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতায় বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ

কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতায় বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ

ডিসেম্বর ৬, ২০২৫

কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতায় বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ।

কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতায় বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ।

রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর: কুড়িগ্রামে শীত ও ঠান্ডার তীব্রতা গত ৫ দিন থেকে অব্যাহত রয়েছে। হিমেল বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। বিশেষ করে কষ্ট বেড়েছে চরাঞ্চলের ও খেটে খাওয়া মানুষের। তারা ঠিক মতো কাজে যেতে পারছে না। দুর্ভোগ বেড়েছে শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের।

কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

জানা গেছে জেলার ১৬ নদনদীর তীরবর্তী এলাকায় ৪৬৯টি চরের মধ্যে ২৬৯টিতেই মানুষের বসবাস। এসব চরের অধিকাংশই তীব্র শীত হওয়ায় হিমেল বাতাসে ঘরবন্দী হয়ে পড়েছেন এ সব এলাকার মানুষ।

বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও চররাজিবপুর উপজেলার চরে শীতের তীব্রতা কয়েক গুণ বেশি।

এরমধ্যে বৃদ্ধ, শিশু ও দিনমজুররা বেশি বিপাকে পড়েছেন। শীতের কারণে অনেক দিনমজুরদের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে আর্থিক কষ্টে দিন কাটছে তাদের।

ধরলার পার এলাকার ফজলু মিয়া বলেন, আমরা গরীব মানুষ। ঘরে পড়ার মতো গরম কাপড় নাই। রাতে ঘুমাইতে গেলে ঠান্ডায় শরীর জমে যায়।

শিক্ষার্থী রাকিব জানায়, শীতের কারণে কষ্ট বেড়েছে অনেক। ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশার কারণে রাতে আর সকালে রাস্তায় বের হওয়া যায় না । সকালে স্কুল যাওয়া খুব কষ্ট হয়।

গৃহকর্মী রেহানা, পারুল ও গোলে বেওয়া জানান, বাসা বাড়িতে কাজ করতে খুব কষ্ট হচ্ছে ঠান্ডার কারণে। পানি তো বরফের মতো ঠান্ডা। দীর্ঘ সময় ঠান্ডায় কাজ করলে শরীর জমে যায়। জ্বর, সর্দিসহ শীত জনিত রোগ দেখা দিয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, কুড়িগ্রাম জেলা শুক্রবার সকাল ৬ টায় ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আদ্রতা ৯৮ শতাংশ। গত ৫ দিন ধরে তাপমাত্রা নিম্নমুখী। ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে উঠানামা করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *