Shopping cart

  • Home
  • বাংলাদেশ
  • অপরাধ
  • গোবিন্দগঞ্জে স্ত্রী’কে গলা কে*টে হ*ত্যার অভিযোগ, মরদেহ কলাবাগানে ফেলে পালিয়েছে স্বামী

গোবিন্দগঞ্জে স্ত্রী’কে গলা কে*টে হ*ত্যার অভিযোগ, মরদেহ কলাবাগানে ফেলে পালিয়েছে স্বামী

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫

গোবিন্দগঞ্জে স্ত্রী'কে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ, মরদেহ কলাবাগানে ফেলে পালিয়েছে স্বামী।

গোবিন্দগঞ্জে স্ত্রী'কে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ, মরদেহ কলাবাগানে ফেলে পালিয়েছে স্বামী।

আশরাফুজ্জামান সরকার, গাইবান্ধাঃ- গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে স্ত্রী শিউলী বেগমকে (৩৫) নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ফরিদ উদ্দীনের (৪৫) বিরুদ্ধে। হত্যার পর মরদেহ কলাবাগানে ফেলে রেখে অভিযুক্ত ফরিদ উদ্দীন পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের বাজারস্থ কাটাবাড়ী গ্রামের বাগদা বাজার টাওয়ার এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ফরিদের বাড়ির পাশে কলাবাগান থেকে শিউলীর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

নিহত শিউলী বেগম ওই গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে ফরিদ উদ্দীনের দ্বিতীয় স্ত্রী। তিনি একই ইউনিয়নের বোগদহ সদর কলোনী এলাকার শরীফ মিয়া ড্রাইভারের মেয়ে। তাদের সংসারে একটি ৮ বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে। প্রায় ১২ বছর আগে শিউলী ও ফরিদের বিয়ে হয়। ফরিদের প্রথম স্ত্রী থেকেও দুটি সন্তান রয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে শিউলীকে নির্যাতন করতেন ফরিদ। শনিবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। একপর্যায়ে ফরিদ শিউলীকে মারধর করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ বাড়ির পাশে কলাবাগানে ফেলে রেখে পালিয়ে যান তিনি। প্রতিবেশীরা বিষয়টি দেখে পুলিশকে খবর দেন।

নিহত শিউলীর বাবা শরীফ মিয়া ড্রাইভার ও স্বজনদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই মেয়েকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন ফরিদ। পরিকল্পিতভাবেই শিউলীকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে পালিয়েছে ঘাতক ফরিদ। তারা দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য রবিবার সকালে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।

তিনি আরও বলেন, ফরিদের প্রথম স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। শিউলী ছিলেন দ্বিতীয় স্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। নিহতের গলা ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব আঘাতেই তার মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্ত ফরিদ উদ্দীন ঘটনার পর থেকে পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গাইবান্ধা জেলার সহকারী পুলিশ সুপার সি- সার্কেল রশিদুল বারী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *