স্টাফ রিপোর্টার: দীর্ঘদিনের অভিযোগ ও অনিয়মের কারণে বড়খাল কলেজ ছেড়ে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার একটি স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দিলেও রেহাই মেলেনি নজীর আহাম্মেদের।
সদ্য এসএসসি পরীক্ষায় তিনি কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পেলেও অতীতের বিতর্কিত ভূমিকার কারণে, গত ২২ এপ্রিল তাকে সেই পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
জানা গেছে, বড়খাল কলেজে অধ্যক্ষ থাকাকালে নজীর আহাম্মদ রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কলেজের চারপাশে অনিয়ম ও দুর্নীতির এককাঠামো গড়ে তুলেছিলেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার বদলে তিনি হয়ে উঠেছিলেন একজন দলীয় কর্মী। শিক্ষাসংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সবকিছুর দায়ভার চাপিয়ে দিতেন স্থানীয় এমপি’র ওপর। অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষকদের বৈধ প্রশ্ন বা উদ্বেগের জবাবে তার প্রিয় বাক্য ছিল— “এমপি সাব জানেন।”
সুশীল সমাজ ও স্থানীয় সাংবাদিকদের ধারাবাহিক প্রতিবাদে অবশেষে তিনি বড়খাল কলেজ থেকে সরে গিয়ে কোম্পানিগঞ্জে নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তবে সেখানে এসেও তার বিরুদ্ধে পেছনের অনিয়মের রেশ কাটেনি।
সম্প্রতি কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজীর আহাম্মেদের বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন। এ নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ একটি সাহসী উদ্যোগ।