বুশরা আক্তার, কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লায় “গুজব প্রতিরোধে ফ্যাক্ট-চেকিং” বিষয়ক দু’দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র প্রদান ও এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট ২০২৫) কুমিল্লার গ্র্যান্ড ক্যাসেল হোটেলের সেমিনার কক্ষে এই আয়োজন করা হয়।
এই কার্যক্রমটি পরিচালিত হয়েছে বাংলাদেশে অবস্থিত নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের অর্থায়নে পরিচালিত “ডিজিটাল ঝুঁকি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে প্রচারমাধ্যম কর্মী, ছাত্রী ও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নারীদের ক্ষমতায়ন” প্রকল্পের আওতায়। কুমিল্লা জেলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয় এনজিও পার্টনার হিসেবে কাজ করছে হলদিয়া মহিলা উন্নয়ন সংস্থা।
সভায় কুমিল্লার বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছেন।
সভা শেষে অংশগ্রহণকারীরা তাদের অভিজ্ঞতা ও মতামত তুলে ধরেন। তারা জানান, গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ, ইনভিড, গুগল অ্যাডভান্সড সার্চ ও ওয়েব আর্কাইভিং-এর মতো বিভিন্ন ডিজিটাল টুল ব্যবহার করে কীভাবে ভুয়া তথ্য শনাক্ত ও যাচাই করতে হয়, তা তারা এখন শিখেছেন।
শিক্ষার্থীরা প্রস্তাব করেন, একটি নির্দিষ্ট ফ্যাক্ট-চেকিং প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা হলে তারা সেখানে ভুয়া তথ্য যাচাই করে তা নিয়মিত আপলোড করতে পারবেন, যা ভবিষ্যতে সরকারের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য মোকাবিলায় কাজে আসবে।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ নূরুল হক, সিনিয়র তথ্য অফিসার কুমিল্লা। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাহমুদুল হাসান, চেয়ারম্যান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অতিথি হিসাবে ছিলেন সালমা খাতুন, উপজেলা আইসিটি অফিসার, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা।
মোহাম্মদ নূরুল হক বলেন, “মানুষ যদি নিজ থেকে কিছু করার আগ্রহ অনুভব না করে, তবে শেখার আগ্রহও তৈরি হয় না। গুজব হলো এক ধরনের ঝড়, এই ঝড় আমাদের প্রতিহত করতে হবে। নতুন ফ্যাক্ট-চেকাররা আমাদের এই কাজে ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।”
সভার সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (স্যাকমিড) এর কর্মকর্তারা এবং হলদিয়া মহিলা উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাহমুদা আক্তার।
এই সভা স্যাকমিডের “ডিজিটাল হুমকি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মী, ছাত্রী ও কমিউনিটি নারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি” প্রকল্পের অংশ। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণ-তরুণী ও নারীদের মধ্যে ডিজিটাল শিক্ষা, তথ্য যাচাই ও সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করা হচ্ছে।