প্রতিবেদক: দৈনিক সারাদেশ- তেল আবিব: দীর্ঘক্ষণ সুরক্ষিত বাঙ্কারে অবস্থান করার পর আজ সকালেই বের হন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বাইরে পা দিতেই চোখে পড়ে এক ভয়াবহ দৃশ্য—বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন, ধসে পড়া সড়ক, ছিন্নভিন্ন জীবনযাত্রা। ইরানি মিসাইল হামলার পর ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিব যেন রূপ নিয়েছে এক ধ্বংসস্তূপে।
ইরানের পাল্টা জবাবে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় দেশটির একাধিক স্থাপনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ নিরাপত্তা কারণে কয়েকদিন ধরে একটি গোপন বাঙ্কারে অবস্থান করছিলেন নেতানিয়াহু। সেখান থেকে বেরিয়েই আজ বাস্তবতার ভয়াবহতা অনুভব করেন তিনি।
সামরিক সূত্র জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে এখনো উদ্ধার ও পুনর্গঠনের কাজ চলছে। একাধিক যোগাযোগ ব্যবস্থাও অচল হয়ে পড়েছে। অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ, পানি ও ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন।
নেতানিয়াহু পরিস্থিতি পরিদর্শনের সময় সেনাবাহিনীর কাছ থেকে ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ নেন এবং সাধারণ মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, “এটা আমাদের জাতীয় সংকট। ইসরায়েল কখনো মাথা নত করে না—আমরা একসঙ্গে এই বিপর্যয় মোকাবিলা করব।”
ঘটনার পেছনের প্রেক্ষাপট:
সম্প্রতি ইসরায়েল কর্তৃক ইরানের অভ্যন্তরে সামরিক স্থাপনায় চালানো হামলার জবাবে তেহরানও পাল্টা আক্রমণে নামে। শুক্রবার রাতে চালানো একযোগে ড্রোন ও মিসাইল হামলায় তেল আবিব, হাইফাসহ বিভিন্ন শহরে আঘাত হানে ইরান।
এই হামলায় ইসরায়েলে বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়, আহত হয়েছেন অসংখ্য বেসামরিক নাগরিক। সেনা সূত্রে জানা গেছে, কিছু এলাকায় এখনো ধ্বংসাবশেষে আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধারে কাজ চলছে।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া:
সরকারি এক মুখপাত্র জানান, “প্রধানমন্ত্রী নিজ চোখে ক্ষয়ক্ষতির বাস্তব চিত্র দেখার পর পরিস্থিতিকে আরও গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন এবং প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিচ্ছেন।”
সংক্ষেপে:
ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার নতুন পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর বাঙ্কার ত্যাগ এবং তেল আবিবের বাস্তব চিত্র সামনে এসেছে। এই সঙ্কট ইসরায়েলের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে কঠিন এক চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।