সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা: সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা চিনাকান্দি গ্রামে তথ্য সংগ্রহ করে বাড়ি আসার পথে নাগরিক টেলিভিশনের সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুু,র উপর হামলা লুটপাট ও বাড়িঘর ভাংচুর করেন, বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমল থেকে এই সাংবাদিক উপর মিথ্যা মামলা সহ বেশ কয়েক বার হামলার শিকার এই ভুক্তভোগী সাংবাদিক।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা আনুমানিক সারে সাতটার দিকে চিনাকান্দি ক্যাম্পের বাজারে সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর উপর চোরাকারবারি ও আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হামলা চালায় এতে আহত হয়।
হামলাকারীরা বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা চিনাকান্দি গ্রামের আওয়ামী পরিবার। হোসেন খাঁ, আলমগীর মিয়া, মুলায়েম খাঁ,ফুরকান খাঁ,সেলিম মিয়া,আলাদিন,আনোয়ার মিয়া,হাদিস মিয়া সহ আরো অনেকে।
তথ্য সুত্রে জানা যায় ২০২২ সাল থেকে সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, র ছবি এডিট করে ফেসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে ,এদিকে ছাত্র আন্দোলন ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনা সহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
হোসেন খাঁ উপর গুরুতর অভিযোগ রয়েছে সে নাকি আপন দুই বোনকে এক সাথে নিয়ে সংসার করে যাচ্ছেন,ছোট বোনকে বিয়ে করে, আর বড় বোনকে বিয়ে না করেই, এই অনুসন্ধানিক তথ্য সংগ্রহ সুত্র ধরে হামলার শিকার সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু।
৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর থেকে যেন আরো বেহুয়া হয়ে পড়েছে এই আওয়ামী পরিবার, এলাকাতে গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে বিএনপির পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছে মুলায়েম খাঁ ও ফুরকান, এদিকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তালুকদারের ঘনিষ্ঠ (ভাইরা) ফুরকান, বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত এবং নিজের ফেসবুকে রফিকের সাথে থাকা ছবি ও ফুরকানের মেয়ের ছবি সহ পোষ্ট করাও হইছে, তারেই আপন ভাই শাহানুর আলম নামে রয়েছে ছাত্র আন্দোলনের মামলা আসামি।
এদিকে সরেজমিনে এলাকা বাসীর সাথে কথা বলে যানা যায় হোসেন খাঁ আপন দুই বোনকে নিয়ে এক সাথে সংসার করে আসছে বহুবছর ধরে, তাদের এ রকম অনৈতিক কাজে ভয়ে মুখ খুলে বলার সাহস হয়নি কারো,এই বিষয়ে মুখ যারা খুলে তাদের কে হামলা মামলার হুমকি, ভয়ভীতি দেখায় এই আওয়ামী পরিবার। এই সাংবাদিক তথ্য সংগ্রহ করতে আসলে, আওয়ামী সন্ত্রাসী পরিবারের দ্বারা সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংবাদিক সমাজ।
এ বিষয়ে বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান বলেন, সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু,উপর হামলার খবর পেয়ে সাথে সাথে পুলিশ পাঠানো হয়, এবং ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে, অভিযোগের ভিত্তিতে হামলা কারীদের মধ্যে সেলিম নামে একজনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।