Shopping cart

  • Home
  • বাংলাদেশ
  • অন্যান
  • সুদানে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় শহীদ সেনা সদস্য সবুজ মিয়া পলাশবাড়ীর নিজগ্রামে রাষ্টীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন 

সুদানে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় শহীদ সেনা সদস্য সবুজ মিয়া পলাশবাড়ীর নিজগ্রামে রাষ্টীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন 

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫

সুদানে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় শহীদ সেনা সদস্য সবুজ মিয়া পলাশবাড়ীর নিজগ্রামে রাষ্টীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন।

সুদানে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় শহীদ সেনা সদস্য সবুজ মিয়া পলাশবাড়ীর নিজগ্রামে রাষ্টীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন।

আশরাফুজ্জামান সরকার, গাইবান্ধাঃ- সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘের (ইউএন) শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় শহীদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। প্রিয় মানুষটিকে শেষ বিদায় জানাতে গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে লাশ দাফন করেছে স্বজনরা,সর্বস্তরের মানুষ, সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সদস্যগণ।

২১ ডিসেম্বর রবিবার দুপুরে সেনাবাহিনীর বহনকারী হেলিকপ্টারে সবুজ মিয়ার মরদেহ গাইবান্ধার তুলসীঘাট হেলিপ্যাডে আনা হয়। পরে সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে মরদেহ পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের ছোট ভগবানপুর গ্রামে তার নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়। মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই পুরো এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। স্বজন ও প্রতিবেশীদের আহাজারিতে চোখ ভরাপানিতে এক শোকাবহ পরিবেশে রুপ নেয়। মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর পর এক নজর দেখার জন্য ভিড় করেন আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও এলাকাবাসী। বাড়ির আঙিনায় আহাজারিতে ভেঙে পড়েন তার মা ছকিনা বেগম। বারবার তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন। স্বজন ও প্রতিবেশীরা তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

এদিকে নিহতের স্ত্রী, উচ্চ মাধ্যমিক শেষ বর্ষের ছাত্রী নূপুর আক্তার কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, বিয়ের মাত্র এক বছর আট মাসের মাথায় স্বামীকে হারালাম। সব স্বপ্ন এক মুহূর্তেই শেষ হয়ে গেল।

শহীদ সবুজ মিয়া পলাশবাড়ী উপজেলার ছোট ভবনপুর গ্রামের মৃত হাবিদুল ইসলামের ছেলে। ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়ে জীবনের কঠিন বাস্তবতার মধ্য দিয়েই তিনি বড় হন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত অবস্থায় দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই এই সাহসী সেনাসদস্য জীবন দেন। সেনাবাহিনীর পক্ষ হতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাবের আহমেদ নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা ও দাদীর কবরের মাঝে তাকে সমাহিত করা হয়। পরে সেনাবাহিনীর পক্ষ হতে সবুজ মিয়ার ব্যবহৃত সামগ্রীসহ পরিবারের জন্য বিভিন্ন উপকরণ প্রদান করেন।

এর আগে, গতকাল শনিবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটে নিহত ৬ সেনার মরদেহ ঢাকায় পৌঁছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম বিমানবন্দরে শান্তিরক্ষীদের মরদেহ গ্রহণ করেন। এ সময় সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন ও সম্মান জানিয়ে স্যালুট দেন।

উল্লেখ্য, গত ১৩ ডিসেম্বর সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী। শাহাদাৎ বরণ করেন ৬ শান্তিরক্ষী। আহত ৯ জনের সবাই শঙ্কামুক্ত। এদের মধ্যে কেনিয়ার হাসপাতালে ৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *