মো. সিদ্দিকুর রহমান মান্না বামনা (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার বামনায় অপহরণের পনের ঘণ্টা পর বরিশাল কালিজিরা ব্রীজ সংলগ্ন এলাকা থেকে মো. মিলন নামে অপহরণকৃত একজনকে উদ্ধার করেছে বামনা থানা পুলিশ। এ সময় অপহরণকারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১৭ জুন) বামনা উপজেলার পশ্চিম সফিপুর গ্রামের গাজীর পুল থেকে মিলন নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে হাইএস গাড়ীতে বরিশালের কালিজিরা ব্রীজ এলাকায় নিয়ে গিয়ে অপহরণকারী চক্র মিলনের মোবাইল ফোন থেকে দুপুরে কল করে তার স্ত্রী চাঁদনী আক্তারের কাছে পনের লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। চাঁদনী আক্তার এত টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করে। পরবর্তীতে অপহরণকারীরা পাঁচ লক্ষ টাকা দাবী করে। তখন চাঁদনী আক্তার পুনরায় টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করে এবং জানান আমি বিশ হাজার টাকা দিতে পারবো। ততক্ষণে বিষযটি চাঁদনী আক্তার বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হারুন অর রশিদ হাওলাদারকে অবহিত করে। চৌকস পুলিশ অফিসার হারুন অর রশিদ হাওলাদার তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে এসআই উত্তম কুমার ও তার সংগীয় ফোর্সকে সাথে নিয়ে ঐদিন রাত ২.৪৫ মিনিটের সময় গোপন তথ্য অনুযায়ী বরিশালে কালিজিরা ব্রীজ সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত বাসা থেকে অপহরণকৃত মিলনসহ বিকাশে পাঠানো আঠারো হাজার টাকা, পুলিশের ওয়াকিটকি, হ্যান্ডক্যাপ ও কটি উদ্ধার করে বামনা থানায় নিয়ে আসে।
চাঁদনী আক্তার জানান অপহরণকারী জহির হোসেন তুষারকে মুক্তিপণের ১৫ লক্ষ টাকা না দিলে আমার স্বামী মিলনকে দুনিয়া থেকে শেষ করে দিবে। পরে আমি নিরুপায় হয়ে বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ মহোদয় কে জানাই এবং উপজেলার রামনা গ্রামের মিজানুর রহমানের পুত্র মো. জহির হোসেন তুষার (৪৪), মোঃ রুবেল(৪০), হানিফ (৩০) আশিক (২৭), নাসির উদ্দিন (৩৫) ও রিয়াজ (৩৫) সাতজনকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করি।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হারুন অর রশীদ হাওলাদার জানান, চাঁদনী আক্তার নামে একজন নারী বিষয়টি জানালে তাৎক্ষনিক তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অপহরণকৃত মিলন ও অপহরণকারী চক্রের প্রধান মো. জহির হোসেন তুষারকে গ্রেফতার করে বামনা থানায় নিয়ে আসা হয় এবং আসামী জহিরের প্রাথমিক স্বীকারোক্তি গ্রহণ করে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করি।