Shopping cart

  • Home
  • বাংলাদেশ
  • অন্যান
  • চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের জন্য জমি বরাদ্দ: প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের হাত দিয়ে দলিল হস্তান্তর

চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের জন্য জমি বরাদ্দ: প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের হাত দিয়ে দলিল হস্তান্তর

মে ১৪, ২০২৫

ছবি সংগ্রহীত

ছবি সংগ্রহীত

মোঃ বিজয় চৌধুরী: চট্টগ্রামবাসীর বহু প্রতীক্ষিত একটি স্বপ্ন আজ বাস্তবের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল। আন্তর্জাতিক মানের বিশেষায়িত হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জমি বরাদ্দের আনুষ্ঠানিক দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এক আয়োজিত অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের জন্য নির্ধারিত ২৩ একর জমির নিবন্ধিত দলিল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুস সালামের হাতে তুলে দেন হাসপাতালের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

এই জমিটি চট্টগ্রাম মহানগরের পাহাড়তলী থানাধীন দক্ষিণ কাট্টলী এলাকায় অবস্থিত, যেখানে ভবিষ্যতে একটি আধুনিক, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হৃদরোগ বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মিত হবে। হাসপাতালটি শুধুমাত্র চট্টগ্রাম নয়, সমগ্র দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মানুষদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসাকেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশনের অন্যান্য পরিচালক, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা, চিকিৎসক প্রতিনিধি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। বক্তারা বলেন, এই হাসপাতাল নির্মিত হলে হৃদরোগ চিকিৎসায় বিদেশনির্ভরতা অনেকাংশে কমে আসবে, পাশাপাশি এই অঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা খরচ কমবে ও সময়মতো সেবা পাওয়ার সুযোগ বাড়বে।

প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর বক্তব্যে বলেন, “চট্টগ্রামে একটি আন্তর্জাতিক মানের হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন আমরা অনেক দিন ধরেই দেখছি। আজ এই জমির দলিল হস্তান্তরের মাধ্যমে সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন শুরু হলো। এই হাসপাতাল শুধু চিকিৎসা নয়, গবেষণা ও চিকিৎসা শিক্ষার দিক থেকেও একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।”

চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুস সালাম বলেন, “চট্টগ্রামবাসীর জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক দিন। এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা মানুষের হৃদরোগজনিত মৃত্যু হ্রাসে একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারব।”

এখন জমির দলিল হস্তান্তরের পর আগামী মাস থেকেই হাসপাতালের নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এটি বাস্তবায়িত হলে দক্ষিণাঞ্চলের হৃদরোগ চিকিৎসায় একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *