দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ): সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার জনসাধারণের দূর্ভোগ লাগবে উপজেলার মানুষের চলাচলের রাস্তায় চলমান সংস্কার কাজের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ ৪ দাবিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (LGED) নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর লিখিত আবেদন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতারা।
রবিবার (৪ মে) স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন এর হাতে আবেদনটি তুলেদেন আবেদনকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ( সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ) মহিদ হাসান শান্ত ও তার সহযোগীরা।
এতে উপজেলার বাংলাবাজার, বোগলাবাজার ও লক্ষিপুর ইউনিয়নের মানুষজনের বিভাগীয় শহর সিলেট যাতায়াতের প্রধান সড়ক বাংলাবাজার থেকে নোয়ারাই ১২ কিলোমিটার সড়ক। নরসিংপুর ইউনিয়নের জনসাধারণের যাতায়াতের প্রধান সড়ক নরসিংপুর থেকে নোয়ারাই ১০ কিলোমিটার সড়কের দীর্ঘমেয়াদি অব্যবস্থাপনা ও চলমান সংস্কার কাজের অনিয়মের তদন্তপূর্বক দ্রুত সংস্কারের দাবিতে লিখিত এই আবেদন করেন।
আবেদন সূত্রে জানা যায়.দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার -ছাতক উপজেলার নোয়ারাই (১২ কি:,) সড়ক এবং দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর -ছাতকের নোয়ারাই (১০ কি:) সড়কদ্বয়ের বেহাল দশা বর্তমানে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৭ সালে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী উক্ত সময়ে ওই সড়কগুলো দীর্ঘ একযুগ ধরে চলাচলের অনুপযোগী ছিলো। এখন ২০২৫ সালে এসে সেই দূর্ভোগ প্রায় দুই যুগে রূপ নিয়েছে।
জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কগুলোর উপর নির্ভরশীল ছাতক ও দোয়ারাবাজার দুই উপজেলার শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছেন। শুঁকনো মৌসুমে খানাখন্দ দিয়ে যানবাহন চলাচল করে। বর্ষায় গর্তে পানি জমে যান চলাচলের বিপর্যয় সৃষ্টি হয়। এতে বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও জরুরি রোগি পরিবহনে বাঁধা সৃষ্টি হয়। বর্ষায় সন্ধার পর থেকে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় পরিবহন চালকরা। এতে উপজেলা সবজি ভান্ডারখ্যাত বাংলাবাজার এলাকার সবজি বাহিরের এলাকায় পাঠাতে পারেনা সবজি বিক্রেতারা ফলে চরম লোকসানে পড়তে হয়।
আবেদনে আরো জানা যায়.২০১৬ সালের শেষের দিকে জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যায়ে সংস্কার কাজের টেন্ডার আহ্বান করা হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শুরু থেকেই গুরুতর অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,সচতন নাগরিকদের মতে ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের মতে পুরাতন কংক্রিট ও রড দিয়ে দায়সারা কাজ করা হয়েছে। নিম্নমানের বালু ও সিমেন্ট ব্যবহারের কারনে ক’দিন যেতে না যেতেই ডালাই উঠে যায়। কাজ চলে ধীরগতিতে এবং কাজের কোন তদরকি নেই। জনস্বার্থের এই প্রকল্পকে দুর্নীতি ও দায়িত্বের অবহেলার মাধ্যমে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়ে।
ছাতক উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ব্যাখ্যা দিয়েছেন পুরাতন সামগ্রী ব্যবহারের অনুমতি ওয়ার্ক অর্ডারে রয়েছে এবং এতপ সরকারের ১১ লক্ষ টাকা সাশ্রয় হয়েছে। কিন্তু জনসাধারণের দৃষ্টিতে এটা সাশ্রয়ী নয় বরং জনগণের নিরাপত্তা আর দূর্ভোগের সঙ্গে আপোষ।
তাই ছাতক-দোয়ারাবাজারবাসীর পক্ষ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতাদের জোর দাবি যে,১. প্রায় দুই যুগ ধরে চলাচলের অনুপযোগী সড়ক দ্বয়ের পূর্ণ সংস্কার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। ২.পূর্বের সংস্কার কাজের অনিয়ম-দুর্নীতির নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে। ৩.দায়ী ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। ৪. ভবিষ্যতে নির্মানকাজে গুনগতমান নিশ্চিত করতে নিয়মিত তদারকি ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রশাসনের ত্বরিত পদক্ষেপের মাধ্যমে এই অঞ্চলের লাখো মানুষের দীর্ঘদিনের দূর্ভোগ লাগবের দাবি জানান।
এসময় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্স এলায়েন্স অব বাংলাদেশ(পুসাব) এর নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের প্রতিনিধি মিফতাহুল হাসান মেহেদি ও মাসুম প্রধানীয়া প্রমুখ।