সিলেটের গোলাপ গঞ্জে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্বামীকে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে প্রথম স্ত্রী নাদিয়া বেগমের বিরুদ্ধে। খুন করার পর মৃতদেহ খাটের নিচে ইট দিয়ে লুকিয়ে রাখেন ওই স্ত্রী, এমনটিও দাবি করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। শনিবার (১৯ অক্টোবর ২০২৪) ফুলবাড়ি ইউনিয়নের হিলালপুর গ্রামের এক টি ভাড়া বাসা থেকে ওই ইমামের মৃতুদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি মীর ‘মো. আব্দুন নাসের’।
জানা যায়, এ ঘটনায় প্রথম স্ত্রী ‘নাদিয়া বেগম’কে (৪০) আটক করেছে পুলিশ। নিহত ‘মাওলানা রুহুল আমীন’ (৩৭) সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার ডৌবাড়ি ইউনিয়নের ডেমি গ্রামের ‘শহিদুর রহমান’ এর ছেলে। মাওলানা রুহুলের হিলালপুর গ্রামের একটি মসজিদের ইমামতি করতেন।
স্থানীয়রা আরো জানান, ঘাতক ‘নাদিয়া বেগম’ দীর্ঘদিন দেশের বাহিরে কর্মরত ছিলেন। প্রবাসে থাকাকালীন সময়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রুহুল আমীনের সঙ্গে তার পরিচয় তারপর প্রেম। এরপর (২০২০ সালে) মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এর কয়েকদিন পর স্বামীর চাপে তিনি দেশে চলে আসেন। প্রবাসে থাকাকালীন আয়ের সব টাকা নাদিয়া তার স্বামীর কাছে দিতেন। দেশে আসার পর তাদের সংসার সুখের ছিল না। বিভিন্ন সময় তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি লেগেই থাকতো। গত পনের (১৫) দিন আগে স্ত্রীকে না জানিয়ে ইমাম ‘রুহুল আমীন’ অন্য এক নারীকে বিয়ে করেন। এ কারণে স্বামীর প্রতি ক্ষোভ বেড়ে যায় নাদিয়ার। শুক্রবার রাতের রুহুল আমীনকে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেন স্ত্রী নাদিয়া। পরে তিনি অচেতন হয়ে পড়লে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন স্ত্রী। হত্যার পর মরদেহ খাটের নিচে ইট দিয়ে লুকিয়ে রাখেন ঘাতক নাদিয়া।
পরে শনিবার বিকেলে প্রতিবেশীরা খাটের নিচে রুহুল আমীনের মরদেহ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে পাঠায়। এ বিষয়ে ওসি ‘মীর মো. আব্দুন নাসের’ বলেন, প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে ‘রুহুল আমীন’কে অচেতন করে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন৷